নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুলিসের STF-এর বড় সাফল্য। পাকড়াও তিন JMB জঙ্গি। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির এবং রবিউল ইসলাম। ধৃতরা তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। STF সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্য়েকেই জেএমবির স্লিপার সেলের সদস্য। এদের থেকে মিলেছে জিহাদি লিফলেট, মোবাইল, ডায়েরি। দীর্ঘদিন বাদে ফের কেন সক্রিয় হল তারা। এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁদের বক্তব্য, ধৃতরা প্রত্যকেই জেএমবি-র নযা মডিউল। বুদ্ধাগয়া বিস্ফোরণ বা খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত কোনও মডিউল নয়। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর ধরপাকড় শুরু হলে, এ রাজ্যে সক্রিয় জেএমবি স্লিপার সেলের বেশির ভাগ সদস্যই গ্রামেগঞ্জে বা মফঃস্বলে গা ঢাকা দেয়। শেষবার জেএমবি জঙ্গি নেতা কওসরকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা সক্রিয় হয়েছিল। পুলিসি কনভয়ে হামলা চালিয়ে, জঙ্গি নেতাকে ফিনতাইয়ের ছক ছিল তাদের। যদিও সেই ছক ভেস্তে দিয়েছিল কলকাতা পুলিস। তবে ওই ঘটনার পর থেকে কার্যত শীত ঘুমে চলে গিয়েছিল জেএমবি স্লিপার সেলের সদস্যরা।     


আরও পড়ুন: Bhabanipur Clash: ছাত্র সংঘর্ষে ধৃত ৫ জনের ৪ দিনের পুলিসি হেফাজত


আরও পড়ুন: Fake CBI Case: 'আমি ভুল করেছি', Zee ২৪ ঘণ্টায় দোষ কবুল প্রতারক শুভদীপের


তবে সম্প্রতি কলকাতায় ফের জেএমবি স্লিপার সেলের সক্রিয়তার খবর পান তদন্তকারীরা। এরপরই তাদের নাগাল পেতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন। তাদের ফোনের কথাবার্তা বোঝার চেষ্টা করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই শনিবার কলকাতা সংলগ্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। সূত্রের খবর, ধৃতদের যে মোবাইল ফোনগুলো বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার থেকেই মিলেছে প্রচুর তথ্য। গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বেশ কয়েকজন জেএমবি শীর্ষ নেতার ফোন নম্বর। তাঁরা জানতে পেরেছেন, জোসেফ ওরফে নাজিউর রহমানের নামে আগেও বহু কেস ছিল। তিন বছর জেলও খেটেছে জোসেফ।  জেএমবি শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। বাংলাদেশের জেল থেকে জোসেফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ওই জঙ্গি নেতা। তবে ফের কেন জেএমবি স্লিপার সেলের সদস্যরা সক্রিয় হলেন? তবে কি নতুন কোনও অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছিল এরা? তবে কি এদের কোনও নাশকতার ছক ছিল? ধৃতদের জেরা করে এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।