নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার রাস্তায় বেপরোয়া বাইক চালালে রেহাই নেই আর। এবার থেকে নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করলে যেতে হতে পারে জেলেও। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তেমনই ব্যবস্থা করেছেন কলকাতার পুলিস কর্তারা। আইন ভেঙে ধরা পড়ায় ইতিমধ্যে শ্রীঘরযাত্রাও করেছেন অনেকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতার রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চিহ্নিত করতে আগেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিশেষ ক্যামেরা লাগিয়েছিল পুলিস। আইন ভেঙে জোরে গাড়ি চালালে বিশেষ সেই ক্যামেরায় উঠে যায় ছবি। এর পর বাড়িতে চলে যায় অভিযোগপত্র। জরিমানা দিয়ে তবে ছাড় মেলে। বর্তমানে জোরে গাড়ি চালানোয় সর্বোচ্চ জরিমানা ৫০০ টাকা। তবে মোটরভেহিকলস আইনে কোনও কারাবাসের সুযোগ নেই। তাই বহু ক্ষেত্রেই বার বার এই অপরাধ করেও জরিমানা দিয়ে ছাড় পেয়ে যান দোষীরা। সেই প্রবণতা রোধে এবার কড়া হচ্ছে কলকাতা পুলিস। এবার থেকে গতিসীমার থেকে জোরে গাড়ি চালালে দেওয়া হবে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ধারা। 


ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারা অনুসারে বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে ৩ মাসের জন্য বাতিল হতে পারে লাইসেন্স। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি থেকে বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় মোট ৪২ জনকে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিস। এছাড়া নজর রাখা হয়েছে আরও ১০০টি গাড়ির ওপর। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে এই গাড়িগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস। বার বার গতিসীমা ভাঙছে এমন গাড়ির ওপরে চলছে নজরদারি। 


চোখে পড়েছে ছানি, সুন্দরবনে হাসপাতালে হেঁটে এলেন বাঘমামা


কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে স্পিড ট্র্যাপ। গতিসীমা লঙ্ঘন করলেই তাতে উঠে যাবে ছবি। এর পর চালককে সনাক্ত করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে পুলিস। তাই এবার ফাঁরা রাস্তায় দুর্দাড় গাড়ি ছোটালে ঠিকানা হতে পারে জেলখানা।