Kolkata Shootout: সিন্ডিকেট বিবাদে দিনেদুপুরে বাঁশদ্রোণীতে শুটআউট, গুলি-পাল্টা গুলি! জখম ২
একজনের বুকে, আরেকজনের পিঠে বুলেটের `ইনবাউন্ড ইনজুরি` থাকলেও, বুলেট শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : খাস কলকাতায় শুটআউট। দিনেদুপুরে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ ২ জন। বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে গুলি চালানোর অভিযোগ। সিন্ডিকেট বিবাদে গুলি চালানোর অভিযোগ। গুলি-পাল্টা গুলিতে জখম হয়েছে ২ জন।
মলয় দত্ত ও বাচ্চা সিং নামে ২ ব্য়ক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মলয়ের বুকের ডানদিকে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ মলয় দত্তকে প্রথমে এম আর বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করার পর তাকে এখন এসএসকেএমে রেফার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, জখম মলয় দত্তের বুকে বুলেট বিঁধে যাওয়ার চিহ্ন থাকলেও, বুলেট শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও ক্ষতচিহ্ন নেই। যা থেকে ডাক্তাররা আশঙ্কা করছেন যে, বুলেট শরীরের ভিতরেই রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ মলয় দত্তের রক্তচাপ স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাচ্চা সিং ওরফে বিশ্বনাথ সিংকে। তার পিঠে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার ক্ষেত্রেও মলয় দত্তের মত শরীরে বুলেট বিঁধে যাওয়ার 'ইনবাউন্ড ইনজুরি' আছে। কিন্তু গুলি বেরনোর কোনও প্রমাণ নেই। জানা গিয়েছে, স্থানীয় একজন প্রোমোটার হলেন উত্তম মন্ডল। মলয় ও বাচ্চু ২ জনেই তাঁর অধীনেই কাজ করত। এখন সিন্ডিকেট নিয়ে বিবাদ বাধে ২ গোষ্ঠীর। এদিন সকালে সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা নাগাদ শুটআউটের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ, মলয় দত্ত যখন নিজের অফিসে বসেছিলেন, তখনই বাচ্চা সিং এসে গুলি চালায়। এরপরই পাল্টা গুলি চলে। যাতে জখম হন বাচ্চা সিংও। গুলি চলার ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররাও ঘটনাস্থলে আছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন DC SSD আদেশ পাঠক।
আরও পড়ুন, আসানসোল বিজেপি জেলা অফিসে হাতাহাতি! ৪ নেতাকে শোকজ জেলা সভাপতির