ওয়েব ডেস্ক : পুরনো পদ্ধতিতে পুরকর  আর নয়। এপ্রিল থেকে  কলকাতায় চালু হয়ে যাচ্ছে এলাকা ভিত্তিক পুরকর। নতুন পদ্ধতিতে পুরকর ২০ শতাংশের বেশি বাড়বে না বা কমবে না। তবে একলাফে অনেকটাই বাড়বে পুরসভার আয়। নতুন কর ব্যবস্থা চালুর জন্য আইন সংশোধন করছে রাজ্য। বদলে যাচ্ছে পুরসভার করের হিসাব। বহু অপেক্ষার পর অবশেষে কলকাতা পুর এলাকায় চালু হতে চলেছে  এলাকা ভিত্তিক পুরকর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মুহুর্তে কলকাতায় একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প চলছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ঋণের টাকায়। ADB-শর্তই ছিল জলকর  আর এলাকা ভিত্তিক পুরকর চালু করা। প্রথমে পুরসভা,  তার পর বিধানসভা ভোটের জন্য চালু হতে পারেনি নতুন কর কাঠামো। এবার সেই পথেই পা বাড়ালো রাজ্য সরকার।

এপ্রিল থেকেই চালু হতে চলেছে এলাকা ভিত্তিক কর ব্যবস্থা। নতুন আইনে  পুরকর আগের চেয়ে কুড়ি শতাংশের বেশি বাড়বে না বা কমবে না।


এলাকা ভিত্তিক কর ব্যবস্থাটা আসলে কী?

এক কথায় বলতে গেলে কোন এলাকায় কেমন বাড়ি, সেটা দেখেই এবার সম্পত্তি কর ঠিক হবে। কর নির্ধারণের সময় দেখা হবে...যে এলাকায় বাড়ি সেখানে কী কী পুর সুবিধা রয়েছে। বাড়ির বয়স , পাকা না কাঁচা বাড়ি তা দেখা হবে। বাড়িটি বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হয় কি না? বাড়িতে ভাড়াটে আছে কি না? আবাসনের ক্ষেত্রে  দেখা হবে তার মান। কর নির্ধারণের জন্য কলকাতাকে মোট ৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন পদ্ধতির করে কী কী সুবিধা হবে? পুরসভা বলছে এতে তাদের আয়ের অঙ্ক যেমন বাড়বে, তেমন স্বচ্ছতাও আসবে।


নতুন করে সুবিধা


শহরে মোট ৬লক্ষ ১৫ হাজার কর দাতা রয়েছেন। এতদিন সম্পত্তি কর বাবদ পুরসভার আয় হত ৬০০ থেকে ৬৫০ কোটি টাকা। নতুন কর ব্যবস্থায় তা বেড়ে হবে ৮০০ থেকে ৮৫০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে কমবে কর নির্ধরণের সমস্যা, ইন্সপেক্টকদের জুলুমবাজি। নতুন পদ্ধতিতে আইনি বিবাদ, কর ফাঁকির প্রবণতাও কমবে বলে আশা। এত দিন পর্যন্ত কলকাতায় পুরনো কর পদ্ধতির সঙ্গে এলাকা ভিত্তিক করও চালু ছিল। ফলে জটিলতাও ছিল। এপ্রিল থেকে সে সমস্যা মিটবে বলেই আশা।