তন্ময় প্রামাণিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইসিইউ-তে নিদ্রালোকে পাড়ি দিয়েছেন নার্স। অথচ রোগীর নাক থেকে খুলে গিয়েছে অক্সিজেন মাস্ক।  সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন রোগীর পরিজনরা। এরপর ঘুম ভাঙে ওই নার্সের। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দেন। ফ্লেমিং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ওঠে এমন গুরুতর অভিযোগ। গাফিলতির প্রমাণিত হওয়ায় ওই নার্সিংহোমকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। 


রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''সাবির খান নামে এক রোগী  ফ্লেমিং হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, আইসিইউতে নার্স ঘুমাচ্ছেন, তখন রোগীর মুখ থেকে খুলে গিয়ে অক্সিজেন মাস্ক। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল রোগীর। এটা তো আছেই। ওই পরিবারকে জয় বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অথচ ওই ব্যক্তি চিকিৎসক নন। পরে জানা যায় সেটা। সবদিক বিবেচনা করে আমরা ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছি ওই নার্সিংহোমকে।''  


শুক্রবার রাজ্যের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের শুনানি হয় স্বাস্থ্য কমিশনে। কাঠগড়ায় উঠেছে, মুকুন্দুপুর আমরি হাসপাতাল, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল  ,বিএম বিড়লা হাসপাতাল, চার্নক হাসপাতাল,ডিসান, আইএলএস দমদম, চার্নক নারায়ানা বিনায়ক হাসপাতাল। মিতা জয়সওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতে চার্নক হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আইএলএস দমদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন জনৈক অজয় কুমার খৈতান।  তাদের ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ঝুমা সরকারের অভিযোগের সারবত্তা পেয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালকেও টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মধুরিমা দত্তর  অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর কমিশন, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। 


আরও পড়ুন- চালু হচ্ছে লোকাল, কামরায় দূরত্ব রাখতে আসন থাকবে 'কাটা'