জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়োগের দাবিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা দিচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১ হাজার দিন পড়ল। শনিবার তাঁদের প্রতি সমর্থন জানাতে সেখানে আজ মিছিল করে যান বামফ্রন্ট নেতারা। চাকরিপ্রার্থীরা কেই মাথা কামিয়ে, কেউ জামা খুলে আজ বিক্ষোভ দেখান। আর এর মধ্য বড় চমক,  তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে যাওয়া। শুধু তাই নয় বামেদের একপ্রকার আড়া করে দিয়েই সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরকারের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেন কুণাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিবাহিত মেয়ে বাবার পরিবারের সদস্য নন, রাজ্যের যুক্তি খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে


এদিন কুণাল ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে যেতেই তুমুল স্লোগান শুরু হয় তাঁকে ঘিরে। কিন্তু কুণাল ঘোষে তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে কুণাল বলেন, এঁরা যোগ্য, উপযুক্ত। কোনও একটি জটিলতার জন্য বিষয়টি আটকে রয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চান এঁদের চাকরি হোক। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী চান চাকরি হোক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একবার এঁদের সঙ্গে বৈঠক করেও বলটাকে রোল করে দিয়েছিলেন। আজ এঁদের কর্মসূচিটা হাজার দিনে পড়ল। এদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত ওই জট খোলার জন্য আমার কাছে যায়। হয়তো ভালোবেসে যায়। আমি কোনও সরকারি লোক নই। আমার কোনও ক্ষমতা নেই। কিন্তু আমি শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। উনি খুব ভালোভাবে সাড়া দিয়েছেন।


তৃণমূল  মুখপাত্র বলেন, আজ টিভিতে দেখলাম আন্দোলকারী রাসমনি নিজের চুল বিসর্জন দিচ্ছে। তখন আমার মনে হয়েছে একবার ওদের সঙ্গে দেখা করে যাই। সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে আমি এদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। ওদের কিছু বক্তব্য রয়েছে। বিস্তারিত কিছু বলব না। শিক্ষা মন্ত্রীকে একটা অনুরোধ করা হয়েছে। ওরা কয়েকটা পয়েন্ট দিয়েছেন। জটটা খুলছে। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তা আটকে রয়েছে। এখানে কোট জড়িত।  ওদের সমস্যা নিয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সোমবার বিকেল ৩টেয় কথা বলবেন। আর আমিও ওদের বলেছি, ভুল কেউ না কেউ করেছে। পাপ যদি কেউ করে থাকে তাহলে প্রায়ঃশ্চিত্ত সেই সরকার করবে। শুধু আন্দোলকারীদের যন্ত্রণা এটা নয়। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদেরও এটা দেখতে ভালো লাগছে না যে দিনের পর দিন এঁরা বসে থাকুক। মুখ্যমন্ত্রী চান এই জটটা খুলুক। আন্দোলন পালিয়ে যাচ্ছে না। আন্দোলন চলবে। তবে আপাতত ওঁরা কিছু পয়েন্ট তৈরি করছেন যে এইসব জিনিস করা প্রয়োজন। তাই এক টেবিলে কথা হলে ভালো হবে। সোমবার দু'পক্ষের পয়েন্টে নিয়ে কথা হবে। কেউ যদি মনে করেন স্লোগান দিয়ে চাকরি হবে তাহলে তারা তা করুক। চাকরিপ্রার্থীরা অত্যন্ত ভালো মনোভাব নিয়ে সহয়োগিতা করছেন। সরকারের তরফে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে সরকারের তরফ থেকেই তার প্রায়শ্চিত্ত হবে। তার আইনি জট কীভাবে খোলা যায় তার চেষ্টা চলছে। তা অনেকটা এগিয়েছে। একটা জট খোলার জন্য ওঁরা সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)