নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেন, "পায়ের তলায় জমি নেই। দিল্লী থেকে সমস্ত নেতা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। পরিযায়ীদের ভরসায় ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল।" উত্তরপ্রদেশে যদি বিজেপি জেতেও, তাতে বাংলায় 'স্বপ্ন' দেখে  যে লাভ নেই, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। দাবি করেন, "বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি, এদিন নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চড়া সুরে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন এই দলে ছিলে, তখন এই দল তুঘলকি দল মনে হয়নি?" কটাক্ষ করেন, "শুভেন্দুর মনে রাখা উচিৎ, আবকি বার দুশো পার স্লোগানে বাংলা ঝামা ঘষে দিয়েছে।" আরও বলেন, "যাঁর বাবা আর ভাই কোন দলে, জোরে বলতে পারে না, তাঁর মুখে এই কথা মানায় না। শুভেন্দু, তুমি যত মুখ দেখাবে, তত প্রত্যাখ্যাত হবে।" হুঁশিয়ারি দেন, "শুধু নন্দীগ্রামে কারচুপি করে জিতেছ। আদালতে দেখে নেব। বাকি আসনে মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েই ভোট দিয়েছেন মানুষ।"


শুধু শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি নেতৃত্ব নয়, এদিন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়কেও তুলোধনা করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিধানসভায় গন্ডগোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সেদিন প্লট রচনা করেছেন তিনি। বিজেপিকে প্রচার দিতে চেয়েছিলেন। সাংবিধানিক জটিলতা তৈরির চেষ্টা ছিল। চুপ করে বসেছিলেন। কিন্তু পড়লেন না। মহিলা বিধায়করা অনুরোধ করেন তাঁকে। তাঁর অনুমোদন নিয়েই ছাপা হয়েছে , বিলি হয়েছে । তাই শেষপর্যন্ত পড়তে বাধ্য হন।" এদিন ঘটনার পুনর্নিমাণেরও দাবি জানান তিনি। 


পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিজেপির দু'জন ভাষণের সময় ভীষণ ডিস্টার্ব করছিল। তাই সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঠিকই হয়েছে।" 


আরও পড়ুন, BJP Walked Out: তুলে নিতে হবে ২ বিধায়কের সাসপেনশন, তুমুল হট্টগোল করে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)