Kunal Ghosh: `লড়াইটা সুজন বনাম সেলিম, তাই কুৎসার প্রতিযোগিতা চলে`, সিপিএমকে কড়া তোপ কুণালের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসংযোগ কর্মসূচীর জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এই যাত্রায় যে বাস ব্যবহার হবে সেখানে বিপুল টাকা খরচ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘টাকার কথা তুলছে বিরোধীরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি দু’মাস ঘর বাড়ি ছেড়ে ঘুরে বেড়াবে তার জন্য একটা বাস ভাড়া করতে পারবে না দল? সিপিএম যে সম্পত্তি করেছে কৌটো নেড়ে সেটার হিসেব কই?’
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে কুণাল ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান এবং আস্থা আছে। বিচারপতিদের আমরা পূর্ণ সম্মান করি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি কিছু বলেছেন, পাল্টা আমরা কিছু বলেছি। সেটা সুপ্রীম কোর্টের নজরে এসেছে’।তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে, তিনি যতক্ষণ মামলা সংক্রান্ত যেকোনও বিষয় বলছেন, সেগুলো আমরা মাথা পেতে স্বীকার করছি। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তিনি মহামান্য বিচারপতির পদের মিস ইউজ করছেন। তিনি এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যাতে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিষয় বহির্ভূত মন্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদ ছিল। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে আমরা ওঁকে অসম্মান করছি। বাস্তবমুখী অবজাভেশন সুপ্রীমকোর্ট দিয়েছেন। এটার প্রয়োজন ছিল’।
সোমবার কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এই বৈঠক প্রসঙ্গে তইই বলেন, ‘এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের মহাজোট তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। তিনি তো বিকল্প শক্তির ভরকেন্দ্র বটেই। কে বড়, কে আগে সেটা না দেখে নো ভোট টু বিজেপির লক্ষ্যে সবাই এগোচ্ছেন। সে বিষয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে’।
আরও পড়ুন: DA Movement: বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে শুনানির দিন, হতাশ যৌথ মঞ্চ কোমর বাঁধছে মহামিছিলের জন্য
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচি। কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সবাই একসঙ্গে এগোচ্ছেন। তৃণমূলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএম শূণ্য। বিজেপি একটা দল তাঁদের ফেসবুকে পোস্ট করে বলতে হয় কমিটি গঠন করার জন্য লোক ডাকতে হয়। এদের কাছে সংগঠন গরুর গাড়ির হেডলাইটের মতো। এখানে পাল্লা দিতে পারছে না বিরোধীরা। দেশের বৃহত্তম এবং অভিনবতম কর্মসূচি। এই কর্মসূচির পর বিরোধীদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসংযোগ কর্মসূচীর জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এই যাত্রায় যে বাস ব্যবহার হবে সেখানে বিপুল টাকা খরচ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘টাকার কথা তুলছে বিরোধীরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি দু’মাস ঘর বাড়ি ছেড়ে ঘুরে বেড়াবে তার জন্য একটা বাস ভাড়া করতে পারবে না দল? সিপিএম যে সম্পত্তি করেছে কৌটো নেড়ে সেটার হিসেব কই?’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিষেক সব জেলায় যাচ্ছে বলে বুকে ব্যথা ধরছে বুঝতে পারছি। লড়াইটা তো সুজন ভার্সেস সেলিম। তাই কুৎসার প্রতিযোগিতা চলে। দলটাকে দেখুন কত বড়, এতগুলো মানুষ যাবে ভাত-ডাল খাবে না? বাংলার বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস কেউ কোনওদিন এটা করেনি যে দুমাস ঘর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরবে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছে। কী করা যাবে।‘