সুকান্ত মুখার্জি : অপরাধ ঠেকাতে এবার নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুলিস। ফেস রেকগনিশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এবার ভিড়ের মধ্যে কেপমার, ছিনতাইবাজ বা পকেটমার ধরবে পুলিস। কীভাবে কাজ করবে এই সফটওয়্যার? চলুন জেনে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাস্তার মোড় বা ভিড় বাজারের মধ্যে, এখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে সেই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে সর্বদা নজরদারি চালানো হয়। এখন শহরের উপর নজরদারি করছে যে ক্যামেরাগুলি, সেখানেই এই বিশেষ সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে দেবে লালবাজার সাইবার সেল। এর মাধ্যমে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, দিওয়ালির আগেই ভিড় বাজারগুলোর সিসিটিভি-তে এই সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হবে।



ইতিমধ্যেই গত একবছরে যত পকেটমার, ছিনতাইবাজ ও কেপমারদের গ্রেফতার করা হয়েছে, লালবাজারের ওয়াচ অ্যান্ড বার্গলারি বিভাগ সেই সব অপরাধীদের বায়োমেট্রিকের একটি ডেটাবেস তৈরি করছে। বায়োমেট্রিক বলতে চোখ, নাক, মুখের অবয়ব হাত ও পায়ের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে। সেই ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অপরাধীর মুখের খুঁটিনাটি ফেস রেকগনিশন সফটওয়্যারে ইনস্টল করা হয়েছে।


এখন এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের কন্ট্রোল রুমে বসেই চিহ্নিত করতে পারবে পুলিস। এই অপরাধীরা যদি ফের কোনও অপরাধ করে বা কোনও জায়গায় যদি তাঁদের দেখা যায়, তাহলে তাঁদের চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে পুলিসের। নিতে পারবে আগাম ব্যবস্থাও।


আরও পড়ুন, রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আধাসেনা কেন? সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি নবান্নের


তবে এই সফটওয়্যারের একটি সমস্যাও রয়েছে। যদি ডেটাবেস-এর বাইরের কোনও চক্র অপরাধ সংঘটিত করে, তাহলে এই ফেস রেকগনিশন সফটওয়্যার সেইসব অপরাধীদের ধরতে পারবে না। ইতিমধ্যেই বড়বাজার, পোস্তা, বৌবাজার সহ অন্যান্য বড়ো মার্কেট, যেখানে দিওয়ালি বা ধনতেরাসের কেনাকাটির জন্য ভিড় হতে পারে, সেখানকার সিসিটিভিগুলিতে এই সফটওয়্যার ইনস্টল করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।