Lalbazar: বন্ডেলগেট কাণ্ডের জের, প্রস্তুতির জন্য নতুন নির্দেশ লালবাজারের
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বন্ডেলগেটে অবরোধ শুরু করেন কযেকশো লোক। তিলজলার থানার পাশাপাশি গরফা, বেনিযাপুকুর, কড়েয়া, কসবার মতো একাধিক থানার ওসি এবং দুজন এসি ছিলেন। ছিল বড় পুলিস বাহিনী। দুপুর ২ টো নাগাদ ডিভিশনাল ডিসি পৌঁছান এলাকায়। তখন ফোর্স নিয়ে অবরোধ তুলতে যায় পুলিস।
পিয়ালি মিত্র: বন্ডেলগেট কাণ্ডের জের। টিয়ার গ্যাস, হেলমেট, লাঠি , ঢাল পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার নির্দেশে সব ডিভিশনকে। লালবাজার থেকে সব ডিভিশনে পাঠানো একটি নির্দেশ বলা হয়েছে, যেকোনও আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস গান, টিয়ার গ্যাস বা টিয়ার গ্রেনেড ডিভিশনে আছে কিনা তা প্রত্যেক ডিসিকে রিভিউ করতে হবে। সেই সঙ্গে যথেষ্ট সংখ্যায় হেলমেট, ঢাল এবং লাঠি আছে কিনা তাও রিভিউ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জয়েন্ট সিপি (ট্রেনিংকে) টিয়ার গ্যাস ফায়ারিংয়ের ট্রেনিং দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের এই নির্দেশে।
যে কোনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যাতে ডিভিশনে র্যাপিড কম্পোজিট টিম প্রস্তুত থাকে সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে।
হঠাৎ কেন এই নির্দেশ?
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বন্ডেলগেটে অবরোধ শুরু করেন কযেকশো লোক। তিলজলার থানার পাশাপাশি গরফা, বেনিযাপুকুর, কড়েয়া, কসবার মতো একাধিক থানার ওসি এবং দুজন এসি ছিলেন। ছিল বড় পুলিস বাহিনী।
আরও পড়ুন: President Draupadi Murmu: বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন, সময়ের আগেই বেলুর মঠে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু!
দুপুর ২ টো নাগাদ ডিভিশনাল ডিসি পৌঁছান এলাকায়। তখন ফোর্স নিয়ে অবরোধ তুলতে যায় পুলিস। কিন্তু যে ফোর্স ছিল তাদের কয়েকজনের হাতে লাঠি থাকলেও আনেকের অনেকের হাতে ছিল না কোনও লাঠি। এছাড়াও ছিল না কোনও ঢাল, না ছিল টিয়ার গ্যাস। এমনকী অনেকের হেলমেটও ছিল না।
ফলে বিক্ষোভকারীদে লাঠি দিয়ে চেজ কর হঠাতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়তে হয় পুলিসকে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: সাগরদিঘিতে হারের জের! সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই
এক দিকে ইট বৃষ্ট, অন্য দিকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে কয়েকশো লোক। ঢাল, লাঠি (পর্যাপ্ত) গ্যাস গান কিছুই না থাকায় পুলিসকে সেই মূহুর্তে কার্যত পালিয়ে যেতে হয় এলাকা থেকে। কয়েকজন পুলিস কিছু ঘরে আশ্রয় নেন।
ফলে এক ঘন্টার বেশি সময় এলাকা দখল করে নেয় এই বিক্ষোভকারীরারা। একের পর এক গাডি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়। কার্যত তান্ডব চলে এক ঘণ্টা ধরে।
পরে লালবাজার থেকে RAF সহ কম্পোজিট ফোর্স এসে আবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।