নিজস্ব প্রতিবেদন:  ১৯৯০ সালে হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলায় মূল অভিযুক্ত তত্কালীন সিপিএম নেতা লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। সাক্ষীর অভাবে তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্টের ঘটনা। সেদিন প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা বনধের সমর্থনে হাজরা মোড়ে রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন যুব কংগ্রেস নেত্রী। রাজ্যের  ক্ষমতায় তখন বামফ্রন্ট। বনধ বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন তত্কালীন সিপিএম নেতা লালু আলম ও তাঁর অনুগামীরা। বনধ তুলতে হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর লালু আলম ও তাঁর দলের লোকেরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় বাঁশের দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় সেসময় বেশ অনেকদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এক অন্যমাত্রা এনে দেয়।



২৮ বছর পর এই মামলার চার্জ গঠন হয়। আংশিক সাক্ষ্যদান সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু তখনও অভিযুক্তের আইনজীবী মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। ফলে মূল বিচারপ্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি।  এরপর নানা বিষয়ে তাঁর ব্যস্ততা ও আইনশৃঙ্খলার কারণে আদালতে উপস্থিত হয়ে জেরার সম্মুখীন হতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। ঠিক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্য দেবেন। কিন্তু পরে পরিকাঠামোর অভাবে তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় আদালতকে চিঠি দিয়ে জানান, ২৯ বছর ধরে এই মামলা চলছে। এই মামলার ভবিষ্যত্ কী? এই মামলা থেকে সরকার নিষ্কৃতি পেতে চায়। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লালু আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার আদালত এই মামলায় লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে দেয়।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন লালু আলম।