নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আজকের ঘটনার দায় নিতে হবে সরকারকে'। নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিল বামেরা। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কথায়, 'যাঁরা দাবি তুলছে, দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলছে, তাঁদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হচ্ছে। আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বামপন্থীরা দমবে না'। সরকারের ভূমিকাকে জালিওয়ানা বাগের সঙ্গে তুলনা করে রাজ্যবাসীকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাম ও বাম সহযোগী দলের পক্ষ থেক বিবৃতি দিয়েছেন বিমান বসুও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। নবান্ন অভিযানে সামিল হতে এদিন কলেজ স্ট্রিট চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। এরপর যথারীতি মিছিল শুরু হয়। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং-র কাছে পৌঁছতেই মিছিলের পথ আটকায় পুলিস। তার জেরে পুলিসকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। শেষপর্যন্ত লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকী, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো ও জলকামান ছোঁড়া থেকে পিছুপা হয়নি পুলিস। লাঠির ঘায়ে আহত হন বেশ কিছু বাম কর্মী। কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। 


আরও পড়ুন: 'টিকাকরণ শেষেই নাগরিকত্ব', আশ্বাস মতুয়াদের, CAA নিয়ে সংখ্যালঘুদেরও স্পষ্ট বার্তা শাহের


এই ঘটনার প্রতিবাদে যখন মৌলালিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা, তখন ফের তাঁদের উপর পুলিস লাঠিচার্জ করে। ছোঁড়া হয় জলকামানও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুলিসের লাঠিচার্জে আহত হয়ে মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা। তিনি বলেন, 'যাহা ছাপান্ন, 'তাহাই নবান্ন। কলকাতায় রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড করে পুলিসকে ছাত্রদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই'।  পুলিসের তরফে পাল্টা অভিযোগ, বামেদের মিছিল থেকে ইঁট ছোঁড়া হয়। আহত হন ডি সি যাদবপুর রশিদ মুনির খান। দাবি, মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে মাইকিং করা হয়। তারপর ছোড়া হয় জলকামান। করা হয় লাঠিচার্জ।