ওয়েব ডেস্ক : স্পিকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ বাম বিধায়করা। দলবদলের সভায় একজন অধ্যক্ষ কীভাবে উপস্থিত থাকেন,  তা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইলেন বিধায়করা। বিধানসভায় বক্তার তালিকায়  মানস ভুঁইঞা কংগ্রেস, তিনিই আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র। কী ভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নও তুললেন সুজন চক্রবর্তীরা। অধ্যক্ষের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম হয়েছে বিধানসভা। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারুইপুরের এমন একটি সভায় তিনি হাজির ছিলেন যেখানে সিপিএম সমর্থকেরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- স্পিকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় ওয়াকআউট বাম-কংগ্রেসের


গতকাল বিধানসভার মধ্যেই এনিয়ে সরব হয়েছিল বামেরা। এবার  সরাসরি তারা গেলেন রাজ্যপালের কাছে। লিখিত প্রতিবাদ পত্র তুলে দিলেন রাজ্যপালের হাতে। বিধায়কদের অভিযোগ, দলত্যাগের ঘটনা ঘটলে অভিযোগ জানানো হয় অধ্যক্ষকে। তিনিই বিচারক। কিন্তু বিচারক নিজেই কী করে দলবদলের সভায় হাজির থাকলেন? কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মানস ভুঁইঞা। কিন্তু এবারের বিধানসভা অধিবেশনে নোট কাণ্ডে আলোচনার তালিকায় মানস ভুঁইঞার নাম উল্লেখ ছিল কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে। প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস বিধায়কেরা। এরপর থেকে মানস ভুঁইঞাকে আর বিধানসভায় দেখা যায় নি। গতকাল ফের খবরে উঠে আসেন মানস ভুঁইঞা। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে দলত্যাগী এই কংগ্রেস বিধায়ককে।


প্রশ্ন বিধানসভায় তিনি কংগ্রেসের বক্তা....অন্যদিকে আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র? এ কেমন করে হয়? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তবে প্রশ্ন যাই উঠুক না কেন সরকারের জবাব, এসব নিরর্থক। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন এসব প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।