নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী আসছেন শহরে। আগেই বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল সিপিএম। শনিবার পথে নামছে বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠনগুলিও। রাজ্যজুড়ে ৫০০টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখাবে তারা। বিকেলের পর রাজভবনমুখী হবে বাম ছাত্র-যুব ও অতিবামপন্থী সংগঠনগুলি। লেনিনমূর্তির নীচে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি সিপিএমের।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১১ জানুয়ারি, শনিবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফর দু'দিনের। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে মোদীর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে বামেরা। বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের বক্তব্য, মোদী এসে যেখানে নিঃশ্বাস নেবেন, সেই বাতাসে আমরা শ্বাস নিতে চাই না। আপদ বিদায় হোক। উনি পা রাখার আগে থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বাজবে। উনি বাংলা থেকে বিদায় হোন। 


শনিবার রাজ্যের ৫০০টি জায়গায় পোড়ানো হবে কুশপুতুল। ধর্মতলা, যাদবপুর এইটবি, হাতিবাগান ও কলেজস্ট্রিটে দুপুর ১২টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। দুপুর ৩টেয় লেনিন মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্ররা। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল যাবে রাজভবনের উদ্দেশে। সেখানেই রাত কাটাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে অতিবাম ও বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। 



বামেরা তো আছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদও অবস্থানের ডাক দিয়েছে। বনধের দিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলার চেয়ে কেরলের সিপিএম ভালো। ১৩ জানুয়ারি দিল্লির বৈঠকেও যাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন,''বনধের নামে গুন্ডামি করেছে বাম-কংগ্রেস। ওদের সঙ্গে দিল্লিতে মিটিং করব না।'' এরপরই বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করেন, দিল্লির বসেদের কথায় এমন অবস্থান নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন,''বাংলার তৃণমূলের সততা নেই। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি কবে দলবল নিয়ে উনি বিজেপিতে যাবেন। মমতার ছবির পিছনে অবস্থানে বসলে মানুষ বিশ্বাস করবে না। তৃণমূলেও ভালো ছেলে রয়েছে। সত্যিই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।'' 


আরও পড়ুন- বিক্ষোভের শঙ্কা, সন্ধেয় নয়, আলো থাকতেই আকাশপথে কলকাতায় আসবেন মোদী