কলকাতা: দিদির রাজ্যে এসে দিদির হাসি নিয়েই কটাক্ষ! "আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসছি, দেখছি পোস্টারে পোস্টারে দিদি হাসছেন, আমি অপেক্ষা করছি রাজ্যবাসীর হাসির", কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। রেয়াত করলেন না বামেদেরও। "সিঙ্গুরে কৃষকদের কাছ থেকে সম্মতি না নিয়ে জমি নেওয়া ভুল", বললেন কানহাইয়া। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন একেবারেই 'নবাগত' কমরেড। অন্যজন 'নিউ কমিউনিজমের মা'। একজন বাম ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান সময়ের মুখ কানহাইয়া কুমার। অন্যজন কট্টরপন্থী বাম বিরোধী মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই ছাত্র রাজনীতির 'ফসল'। যোগমায়া কলেজে প্রথম রাজনীতির শিক্ষা, ছাত্র পরিষদ করেই কংগ্রেস রাজনীতিতে হাতেখড়ি। এরপর বর্ণময় রাজনৈতিক ইতিহাস। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, যাত্রা পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন বারে বারে। আর মমতা ব্যানার্জির হাঁটুর বয়সী কানহাইয়া এখন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকান স্টাডিস নিয়ে পিএইচ ডি করছেন। জমি আন্দোলন প্রসঙ্গে বাংলার জমি আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তাঁর কটাক্ষ, "সংঘর্ষ আর আন্দোলনের ফসল পাওয়া উচিত মানুষের, কোন রাজনৈতিক নেতার এই অধিকার থাকে না"।     


২০১৬ ফেব্রুয়ারির আগেও বামেদের 'কেষ্টা' তেমন ভাবে প্রচারে আসেননি। আফজুল গুরু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা বলে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কোপে পড়েন তিনি। প্রথমে হাজতবাস তারপর রাষ্ট্র ক্ষমতার দূরবীনে কানহাইয়াই হয়ে উঠলেন একমাত্র ফোকাস পয়েন্ট। এখন বাম ছাত্র রাজনীতির ন্যাশনালিস্ট মুখ কানহাইয়া। 


বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে বামেরা কানহাইয়াকে প্রচারে নামাতে চেয়েও তা পারেনি। কানহাইয়া কলকাতা এলেন এমন এক সময়ে যখন তিলোত্তমা সাজো সাজো রবে। গণেশ পুজো কাটিয়ে দূর্গার আগমনী কল্লোলিনীর আকাশে বাতাসে। মহাজতি সদনে বাম ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের নেতা যখন বক্তব্য রাখছিলেন, বাইরে তখন বিজেপির ছাত্র শাখার বিক্ষোভ চলছে। তবে তিনি কানহাইয়া। মোদীর চোখে চোখ রাখতে পারা দাপুটে নেতা। মিউনিখে মমতা, কলকাতায় কানহাইয়া। প্রসঙ্গ সিঙ্গুর থেকে বাম আন্দোলন, সব বিষয়েই খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন বাম ছাত্রনেতা। সিঙ্গুরে জমি নেওয়ার পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল, এমনটাই বলছেন কানহাইয়া। পরিশেষে জোটের পক্ষেই সওয়াল করে বলে গেলেন, "বামেদের আরও বৃহৎ জোট প্রয়োজন, আর দরকার নিজেদের আত্মসমালোচনা"।