আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচায় মানুষ, এক থাবায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি
কর্মীদের তৎপরতায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় এক ব্যক্তি গাছ বেয়ে লাফিয়ে ঢুকে পড়েন সিংহের খাঁচায়। সেই মুহূর্তে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে দেখতে পেয়ে বাঁচাতে যান। খুব দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় সেখান থেকে। কোনও রকম প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যক্তি। কিন্তু এরই মাঝে সিংহ থাবা বসায় ওই ব্যক্তির গায়ে। আহত হয়ে খাঁচার মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। জানা যাচ্ছে, সাধু বেশে গেরুয়া বসনে ছিলেন ওই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ওই আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় ওই সিংহের নাম বিশ্বাস। কর্মীদের তৎপরতায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে। তবে কীভাবে ঢুকে পড়লেন তিনি, কেন সে সময় কোনও নিরাপত্তা কর্মীর চোখে পড়ল না ঘটনাটি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ব্যক্তিটির নাম গৌতম গুছাইত। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। সকাল ১০.৩০ সময় তাঁকে দেখা যায়, সাধুবেশে গাছ বেয়ে ঢুকে পড়েন খাঁচায়। খাঁচার পাশে বিরাট জলাধার রয়েছে। সেই জলাধারও টপকে তারের বেড়াজালের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। সে সময় সিংহের ঘরের দরজা খোলা ছিল। সিংহ তথা বিশ্বাস ছুটে এসে ওই ব্যক্তির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৎক্ষণে পৌঁছে যায় চিড়িয়াখানার কর্মীরা। সিংহকে কোনওরকমে তার খাঁচার ভিতর ঢুকিয়ে ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন কর্মীরা।
হাসপাাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডান পায়ে থাবা বসিয়েছে সিংহ। আঁচড়ের জেরে আহত ওই ব্যক্তি। কোমড়ে চোট রয়েছে। আপাতত অ্যান্টি র্যাবিস ইনজেকশন দিয়ে সার্জারি বিভাগের অধীনে ভর্তি রাখা হয়েছিল তাঁকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, আহত ব্যাক্তিকে এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।