Live: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee-র
Latest Updates
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। সরকার কড়া পদক্ষেপ করেছে। প্রতি দিন পশ্চিমবঙ্গে হিংসা নিয়ে আলোচনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিস থেকে পরিকল্পিত খেলা। কেন যাদবপুরে মারল বিএসএফ? আমি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান করি। কিন্তু ওরা বিজেপি পার্টির সদস্যদের মতো আচরণ করছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
হাইকোর্টে পড়েছিল। তার পর তো হাইকোর্ট ক্লিয়ার করেছিল। যে তালিকা কোর্ড বাদ দিয়েছিল, সেই তালিকার লোকই কেস করেছে। আর কত অপেক্ষা করবে ৩৫ হাজার ছাত্রছাত্রীরা? এখন কিছু কোর্ট বাবু হয়েছে। এটা কিছু রাজনৈতিক নেতা হয়েছে। হিংসুটে। কাঁথি ব্যাঙ্কে চুরির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ অডিট হচ্ছে। রিট পিটিশন করে বসে আছে? এত ভয় কেন? আটকে দেওয়া যাতে তদন্ত না হয়। কাঁথি ব্যাঙ্কেও তদন্ত হবে। অর্থ দফতর তদন্ত করবে। দুর্নীত অভিযোগ এসেছে। কাঁথি ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে দেখব না? ভূতদের তো বের করতে হবে। ভূতেদের মুখে সেজন্য রামনাম, হরিনাম চলছে। সব কিছুকে কেস করে বন্ধ করে দাও। কলকাতা হাইকোর্টকে সম্মান করি। সেই সম্মানটা যেন অক্ষুন্ন থাকে। তদন্ত হচ্ছে তো এই কারণে। ভূতেদের টাকা আছে। কার টাকা আছে বেনামে? খুঁজে বের করতে হবে না!
ভুয়ো শিবির নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। ওটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাজ্য সরকার জড়িত নয়। যে পদক্ষেপ নিয়েছি আগে কেউ করেনি। বিজেপি লোক সাজিয়ে বাংলাকে বদনাম করছে বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়ে। একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটলেও টিল, ঢিল করে যাচ্ছে। হাথরস থেকে দিল্লিতে ক্যা ক্যা-র ঘটনা- আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। আমরা কড়া পদক্ষেপ করেছি। আমরা খোঁজ নিয়েছি অ্যান্টি বায়োটিক ইঞ্জেকশন দিয়েছে। আশা করি খারাপ কিছু হবে না। যত জনকে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর যোগাযোগ রেখেছে। তাঁদের সকলের টিকাকরণ করে দেব। আমারা যেভাবে কাজ করি তেমন কেউ করে না। গুজরাটে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। এগুলি বিজেপি সাজিয়ে করেনি তার প্রমাণ কোথায়? এখন ফটোশপ থেকেও করে নেয় অনেকে। আমি কাউকে বরদাস্ত করিনি। আগামী দিনেও করব না।
বাংলা থেকে ২৫ শতাংশ লোক ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের টাটা সেন্টারে যায়। মানুষ অসুবিধা পড়ে। আমরা টাটা মেমোরিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। মুম্বইয়ের মতো টাটা মেমোরিয়াল ও পশ্চিমবঙ্গ মিলে করবে। একটা এসএসকেএম ও একটা উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে হবে। বাইরে যেতে হবে না। এখানেই সব সুবিধা পাবেন ক্যানসার রোগীরা।
সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটি সাইকেল দিয়েছি। মাঝে ভোটের জন্য সাইকেল দেওয়া বন্ধ ছিল। এখন ১২ লক্ষ সাইকেল দিচ্ছি। ২০২০ সালে নবম শ্রেণির ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ও ২০২১ সালের নবম শ্রেণির ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রী নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাবেন। ৬ লক্ষ আগেই দেওয়া হয়েছে। তরুণের স্বপ্ন দ্বাদশ শ্রেণির ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দশম শ্রেণি থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা মিলবে। দশম শ্রেণির পর বাইরে পড়ার সুযোগ পাবেন।
নিজেরাই নিজেদের টাকায় পড়তে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের সময় কেউ একটা বইও দেয়নি। কোনও সুযোগ পাইনি। টিউশনি করে পড়াশুনো করতে হয়েছে। আমাদের মানবিক সরকার। সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করব। কৃষক বন্ধু অনেকে পেয়ে গিয়েছেন।
কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী ও সবুজসাথী সাইকেল যারা পায় তারাও পাবে।
কার্ড নকল করে প্রতারণার চেষ্টা করতে পারে অনেকে। ভালো লোক আছে দুষ্টু লোকও আছে। সরকারি লোগোর অপব্যবহার করে। পার্লামেন্ট হামলায় সরকারি গাড়িতে গিয়েছিল। আধার কার্ড, স্টুডেন্ট কার্ডে জালিয়াতি করে। অনলাইনে যাবেন। সেই অনুযায়ী কাজ হবে। শিক্ষা দফতরকে বলব নজর রাখুন। আজকাল নকল কাজ করে বেড়ায়। টিকাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকার যুক্ত নয়। সরকারি গাড়িতে বাতি লাগাচ্ছে। বাইরে বেরোলেই ছবি তোলে। ধরুন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে গেলাম সবাইকে চিনি না। কেউ কোথায় দূর থেকে ছবি তুলে নেয়। একবার প্লেনে দূর থেকে ছবি তুলছে। নানা রকম কায়দা আছে। স্টুডেন্টরা যাতে সুবিধা পায়, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বই কিনলে ঋণ পাওয়া যাবে। দেশ, বিদেশের কলেজ, স্কুলে উচ্চশিক্ষায় পড়াশুনোর সুযোগ পাবে। ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। তার মধ্যে চাকরি পেয়ে যাবেন। সরকারি, বেসরকারি ও সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। আবেদন করার পদ্ধতি সরল। সবটাই অনলাইন। কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময় আবেদন করা যাবে। বাবা-মায়ের কোনও চিন্তা থাকবে না। শিক্ষা ঋণের জন্য এখানে-ওখানে ঘুরতে হবে না। ছাত্রছাত্রীদের অনেক স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে। মন দিয়ে পড়াশুনো করুন ছাত্রছাত্রীরা। মা-বাবারাও নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনারা ছেলেমেয়েরাই ইঞ্জিনিয়ার, আইএএস, আইপিএস হবে। আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। কোনও জামিনদার লাগবে না। জামিনদার হবে রাজ্য সরকার। দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর - সব কিছুইতে ঋণ পাওয়া যাবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঋণ পাওয়া যাবে।
ছাত্রছাত্রীরা আমাদের গর্ব। দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে আগামী দিনে। তাঁদের স্বপ্ন আলোকে ভোর দেখানোর জন্য এই প্রকল্প। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, প্রাথমিকে স্কুল ব্যাগ ও জুতো, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী ও ঐক্যশ্রী। অনলাইন পড়াশুনোর জন্য স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট দিয়েছি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আগেই কৃষক বন্ধু করে দিয়েছি। সারা বিশ্বে এটাই প্রথম প্রকল্প। দেশে তো প্রথম। কথা রাখাটাই আমাদের কথা। উন্নয়ন আমাদের কাজ।