Baguiati Student Murder: বাগুইআটিতে বিক্ষোভের মুখে সুকান্ত, উঠল `গো-ব্যাক` স্লোগান
নিহত দুই ছাত্রের বাড়িতে যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বাধা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরতে হল খালি হাতেই!
সোমেন ভট্টাচার্য: বাগুইআটিতে বিক্ষোভের মুখে সুকান্ত মজুমদার। নিহতদের বাড়ি যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বাধা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উঠল 'গো ব্যাক' স্লোগান। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফিরে গেলেন তিনি। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করা হল না।
মুক্তিপণ না পেয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে চলন্ত গাড়িতে খুন দুই ছাত্রকে? একজনের দেহ পাওয়া গেল ন্যাজাটে, আর একজনের মিনাখাঁয়। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের। মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে শহরে তোলপাড় চলল দিনভর।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ অগস্ট, সোমবার। সেদিন আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র। নাম, অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। পরিবারের লোকেদের দাবি, এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এমনকী, ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিস। কিন্তু মূল অভিযু্ক্ত সত্যেন্দ্র-সহ ২ এখনও ফেরার। জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হল কীভাবে? এই ঘটনার প্রথম যাকে গ্রেফতার করা হয়, সেই অভিজিৎ বসুকে জেরা করে জানা যায়, বাসন্তী হাইওয়ের পর চলন্ত গাড়িতে অতনু ও অভিষেককে খুন করেছে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র ও আরও বেশ কয়েকজন। এরপর নয়ানজুলিতে দুটি আলাদা জায়গায় দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এদিন বসিরহাট মর্গে দিয়ে অতনু ও অভিষেকে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা।
ঘড়িতে তখন ৯ বেজে ১৫ মিনিট। এদিন রাতে বাগুইআটিতে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি তিনি! কেন? মাঝ-রাস্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ কথা, 'এখানে কোনও রাজনীতি ঢুকবে না'। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করেন সুকান্ত, তারপর ফিরে যান।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র-র বাড়ি বিহারের সীতামারিতে। কয়েক বছর ধরে বাগুইআটিতে থাকছিল সে। অতনুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মোটর পার্টসের দোকান সত্য়েন্দ্রর। এমনকী, বছর চারেক আগে প্রেম করে বিয়েও করে অতনুদের পাড়ায়। সেই সূত্রেই অতনুর সঙ্গেও মেলামেশা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কথাবার্তায় অত্যন্ত ভদ্র। অল্পবয়সী ছেলেদের বাইক কিনে দেওয়ার নামে কাছ থেকে টাকা নিত সত্যেন্দ্র।