রাজ্যে বাড়ছে লকডাউনের সময়সীমা, আমফান বিপর্যয় মোকাবিলায় এবার সর্বদলীয় কমিটি
`আমার কাছে ২,১০০টি অভিযোগ এসেছে। জেলাশাসক, বিডিওদের বলছি, আপনাদের এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের সময়সীমা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। এদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ছে এরাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা। কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে জারি থাকবে লকডাউন। বাকি জায়গায় এখনকার মত অর্থাৎ লকডাউন ৫.০-র মতই ছাড় থাকবে। তবে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালু হবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই লকডাউন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য সরকার। যদিও, লকডাউন জারি থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি থাকা তিনটে পরীক্ষা হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে নিয়েই এই সর্বদলীয় কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটি প্রস্তাব জমা দেবে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে কাজ করা হবে। একইসঙ্গে নীতি আয়োগকে সুন্দরবন নিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ ওই সব এলাকার সমস্যার যাতে একটা স্থায়ী সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যের স্বার্থে সবাই যাতে এক সুরে কথা বলে, সেটা দেখতে হবে। করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তারজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড রোগীদের বিষয়ে আরও বেশি করে নজর দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হলে আবেদন করুন। ত্রাণ নিয়ে দলবাজির কোনও জায়গা নেই। আমার কাছে ২,১০০টি অভিযোগ এসেছে। আমি সেগুলো দেখছি। আমি নিজে আমার দলের ৪ জনকে দল থেকে তাড়িয়েছি।"
প্রশাসনকে সতর্ক করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, "জেলাশাসক, বিডিওদের বলছি, আপনাদের এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। সব কিছু দেখে যাঁরা সত্যিকারের দোষী, তাঁদের একটা তালিকা তৈরি করুন। অন্যায় করার অধিকার আমাকে দলও দেয়নি, প্রশাসনও দেয় নি। কোনও ক্ষতিপূরণ থেকে যেন কেউ বাদ না যায়। আমার একটা ক্ষমতা আছে বলে আমি নিজের লোকদের সুবিধা পাইয়ে দেব, তা যেন না হয়।"
আরও পড়ুন, 'দিদিমণির পাঠশালায় যাচ্ছি', সর্বদল বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের