নিজস্ব প্রতিবেদন: মিড ডে মিলে মিলছিল নুন-ভাত। হুগলির চুঁচুড়ার বাণীমন্দির প্রাথমিক স্কুলে হঠাত্ চলে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁর আচমকা পরিদর্শনেই নুন ভাত মেনু চলে আসে প্রকাশ্যে। এরপর জেলায় জেলায় ডিম ভাত, মাছ ভাতের মেনু-নির্দেশিকা দেওয়ার প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। কিন্তু মিড মিলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের মাথাপিছু মেলে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। সেই টাকায় তো বাজারে একটা ডিমই মেলে না? ডিম-ভাত কোথা থেকে আসবে? জি ২৪ ঘণ্টাকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, বিষয়টা তো সেটা নয়। ওই স্কুলে নুন ভাত খাওয়ানো হচ্ছিল। পরের দিনই কীভাবে চলে এল ডিম ভাত। কে ডিম দিল?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু এটা তো মানবেন, কেন্দ্রের দেওয়া ৪ টাকা ৪৮ পয়সায় ডিম ভাত বা মাছ ভাত দেওয়া অসম্ভব। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,'এনিয়ে সমস্যা হলে রাজ্য সরকারকে তো কেন্দ্রকে জানাতে পারত। কিন্তু তার জায়গায় দিনের পর দিন নুন ভাত দেওয়া হচ্ছিল। আমার যাওয়ার পরেরদিন কীভাবে ডিম পৌঁছে গেল? এই ডিমটা কে দিল? ব্রিগেডের মিটিংয়ে ডিম ভাত খাওয়াচ্ছে আর বাচ্চাদের বঞ্চিত করছে সরকার। স্কুলের মিড ডে মিলের চাল ও ডিম লোপাট করে দিয়েছিল।'     



বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'দেখুন গোটা দেশে সব জায়গাতেই মিড ডে মিলে পড়ুয়া পিছু একই টাকা দেওয়া হয়। এনিয়ে আমি কথা বলব। আমাদের সরকার শিশুদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট।'  


চুঁচুড়ার স্কুলে লকেট যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। এরপরই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, সপ্তাহে একদিন ডিম ও একদিন মাছ খাওয়ানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। হুগলির প্রশাসন জানিয়েছে, দুদিন দেওয়া হবে ডিম। একদিন ঝোলে ডিম। আর একটি সবজি খিচুরির সঙ্গে থাকবে। বুধবার মুরগির মাংস দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মাংসের মধ্যে আলু থাকাও বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। 


আরও পড়ুন- দিল্লির 'মূল্যবান বন্ধু' জেটলি না থাকলে হয়তো মোদীর মোদী হয়ে ওঠা হত না!