`সার্টিফিকেট তুলতে যায় স্বর্ণালি, প্রাণ বাঁচাতে কলেজে ঢুকি`, রাহুলের প্রশ্নে জবাব অভিষেকের
তিনি বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। বিজেপি সমর্থকদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কলেজের ভিতরে ঢুকেছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রী স্বর্ণালির সার্টিফিকেট তোলার জন্যই মঙ্গলবার সস্ত্রীক বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন ছাত্র হয়েও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন তাঁরা কলেজে ছিলেন? রাহুল সিনহার প্রশ্নের উত্তরে দাবি করলেন অভিষেক মিশ্র।
অমিত শাহের রোড শো-য়ের সময় টিএমসিপি-বিজেপি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট থেকে বিধান সরণি। বিদ্যাসাগর কলেজ চত্বরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙা হয় কলেজের বিদ্যাসাগরের মূর্তি। এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি পরস্পর পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গুন্ডারাই একাজ করেছে। অন্যদিকে ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পাল্টা দাবি করেছেন, এধরনের ঘৃণ্য কাজ করে এখন মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
এদিন সকালে রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল সিনহা দাবি করেন, অভিষেক মিশ্র ও তাঁর স্ত্রী স্বর্ণালি ঘটনাস্থলে ছিলেন। প্রাক্তনী হয়েও তিনি ও তাঁর স্ত্রী ওই সময় কলেজে তাঁরা কী করছিলেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। গোটাটাই তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পিত ছক। ২০১৩ সালে অভিষেক মিশ্র ও তাঁর দুই সহযোগীর হেনস্থার শিকার হয়ে এক তরুণী আত্মহত্যা করেন বলেও এদিন দাবি করেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন, ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা দাবি, 'বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বিজেপি-ই'
যার জবাবে অভিষেক মিশ্র জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, স্ত্রী স্বর্ণালির সার্টিফিকেট তুলতেই মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। অভিষেক দাবি করেছেন, তিনি প্রথমে কলেজের ভিতরে ছিলেন না। স্ত্রী স্বর্ণালি সার্টিফিকেট আনতে ভিতরে যান। তিনি বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন।
এরমধ্যেই হামলা করে বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা কলেজের দিকে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে। ঢিল ছোঁড়া শুরু হতেই, তিনি পড়ুয়াদের কলেজের ভিতরে ঢুকে যেতে বলেন। সেইসময়ই তাঁকে চিহ্নিত করে তাঁকে আক্রমণ করা হয়। হামলার জেরে তাঁর মাথা ফেটে যায়। বিজেপি সমর্থকদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতেই এরপর তিনি কলেজের ভিতরে ঢুকেছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক মিশ্র।