নিজস্ব প্রতিবেদন: সাতে সাত, বিজেপি হবে কুপোকাত। এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নির্বাচন কমিশনে বিজেপি দরবার করেছে, বাংলার প্রতিটি বুথকেই অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হোক। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, বাংলাকে অপমানিত করা হচ্ছে। এত ভয় কেন? কেরলে রাজনৈতিক হিংসা চলছে। অথচ সেখানে এক দফায় ভোট! ত্রিপুরায় ৯৮ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে হয়রান করার চেষ্টা করছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটে ৯৯ শতাংশ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এভাবে অপমান করা হচ্ছে বাংলাকে। মোদী-শাহের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাই আমাদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা চলছে। ওরা অপমান করছে আমাদের ভাই-বোনোদের। একটা ঘটনা ঘটেছে? ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ এসেছিলেন গঙ্গাসাগর মেলায়। কোটি কোটি মানুষ দুর্গাপুজোয় অংশ নেন, একটাও ঘটনা ঘটেনি।



মমতার হুঁশিয়ারি, আমাদের ক্ষমতা দেখাবেন না। সব কিছুর সীমা থাকা দরকার। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ-কে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। বাংলার সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর সম্প্রচার করে না বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে বিজেপি। একইসঙ্গে এরাজ্যে একজন মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর নিয়োগের দাবিও তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এটা অত্যন্ত লজ্জার বলে মনে করেন মমতা। তাঁর কথায়, এটা লজ্জার ব্যাপার। এরা নির্লজ্জ। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে ওরা। তৃণমূল, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। বাংলায় নির্বাচিত সরকার রয়েছে না রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানেও সেটা তরতে চাইছে। আপনারা প্রতিবাদ করুন। আমার তো মনে হয়, কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে বিবৃতি জারি করা দরকার। আমরা সংবাদমাধ্যমকে সম্মান করি।


আরও পড়ুন- আমার ব্যাথায় মলম দিয়েছেন সূর্যকান্ত: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়


মমতা বলেন,''উত্তরপ্রদেশে কত লোককে গোরক্ষার নামে ও গণধোলাই দিয়ে মারা হয়েছে। চোরের মায়ের বড় গলা। ছোট থেকে রাজনীতি করে এসেছি। হাস্যকর হয়ে গিয়েছে ওরা। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেছে। মজবুত সরকার তৈরি করতে পারবে না। ভয় পাচ্ছে। সাতে সাত, বিজেপি হবে কুপোকাত, বাংলায় বিজেপির কোনও জায়গা নেই''।