বাংলাই এবার ভারতে সরকার গড়বে, জি ২৪ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে প্রত্যয়ী মমতা
নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকার আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে জি ২৪ ঘণ্টার সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর মুখোমুখি হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী মরসুমে প্রথম সাক্ষাত্কারে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ আচরণের আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে দাবি করলেন, বিজেপি একটাও আসন পাবে না রাজ্যে। গোটা দেশে একশো আসনও ছাড়াবে না। ৪২টি আসন নিয়ে বাংলাই এবার ভারতের সরকার গঠনে ভূমিকা নেবে।
চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। আজ একটু আলাদা। শব্দ চয়নে ক্রোধের ইঙ্গিত থাকছে? জি ২৪ ঘণ্টার সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর প্রশ্নে মমতার জবাব, এটা আপনার মন্তব্য। আমার নয়। ক্রোধের জায়গায় যাইনি। সাংবিধানিক ভাষা ব্যবহার করেছি। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কাজ করুক। বিজেপি যা বলছে, তাই করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সাক্ষাত্কারে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবস্থা খারাপ। তাই সাত দফায় ভোট করাচ্ছি। অনুজ শর্মা, জ্ঞানবন্তের মতো দক্ষ অফিসারকে বদলে দিল কমিশন। বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের পুলিস সুপারকে বদলে দিয়েছে। আমার দল থেকে যাওয়া একটা গদ্দার যাই বলছে তাই করছে কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কত দফায় নির্বাচন হবে বাংলায়, সেটা তৈরি করে দিয়েছে বিজেপি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে কেন সরানো হবে? কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিবকে পরিবর্তন করতে বলুন। সত্যিই দরকার থাকলে পরিবর্তন করা যেত। রাজ্য সরকারকে ওদের বলা দরকার ছিল, তিনজনের প্যানেল দিক।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিদিন সেনাকে নিয়ে বলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কই ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? কোটি কোটি টাকা উড়ছে। সেই টাকাগুলি যাতে ধরতে না পারে যাতে গদ্দারদের ধরতে না পারে, তাই পুলিস অফিসারদের বদলে দিল। মানুষকে বলব, যেখানেই টাকা-পয়সা বিলি হবে ছবি তুলে পাঠান।
কমিশনের পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনীতিক প্ররোচনা থাকতে পারে বলে মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''দুঃখিত সবটাই রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ, নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করুন''।
এটা অসম লড়াই নয়? মমতার জবাব, কী করব? মিডিয়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলিকে ওরা কিনে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ আমি। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলি। মানুষের মুখ জোর করে বন্ধ করা যায় না। কাউকে না কাউকে প্রতিবাদ করতে হবে। আগামী দিনে বাংলাই ঠিক করে দেবে কে সরকার গঠন করবে। অপমান করেছে বাংলাকে। অফিসারদের হেনস্থা করছে। নির্বাচন কমিশনকে বলব, দয়া করে বিজেপির কথা শুনবেন না।
মমতার দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। একশোই পার করবে না। গোহারা হারবে। মোদীর চেয়ার টলমল। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খৃষ্ট্রান বলবে এবার মোদীর বিদায়।
তৃণমূলের কী ভূমিকা থাকবে? প্রত্যয়ের সুর মমতার গলায়। তাঁর দৃঢ় ঘোষণা, ''এবার সরকার গড়বে বাংলা। বাংলা স্বাধীনতার মাটি পথ দেখানোর মাটি। বাংলাই পথ দেখাবে। বাংলার ৪২টি আসন নিয়ে ভারতে সরকার গঠন করবে। একটাও পাবে না বিজেপি। ছিল ২টো। কোথা থেকে পাবে ১০টা। ওদের যতই নম্বর দিন, মানুষ ওদের নম্বর জিরো করবে। মানুষের মুখচোখ দেখে বুঝতে পারছি, কী হতে চলেছে''।
প্রধানমন্ত্রী দেখতে পাব? মমতা বলেন, ''আমি বাংলায় কাজ করে সন্তুষ্ট। এই কাজটাই করে যাব। বাংলা ভারতের কেন্দ্রবিন্দু হবে এটাই চাই। জয় হিন্দ। বন্দে মাতরম''।
আরও পড়ুন- পুরস্কার থেকে স্কলারশিপ- সব সুবিধাই নিয়েছিলেন, নাসিরুদ্দিনদের বিঁধলেন মোদী