মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেসের জেতা দুটি আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে প্রার্থী হয়েছেন জুলফিকার আলি ও মালদহ উত্তর আসনে বিশ্বনাথ ঘোষ। বহরমপুর ও মালদহ দক্ষিণ আসনটি এখনও ছেড়ে রেখেছে বামফ্রন্ট। একইসঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোলা রাখার বার্তাও দিয়েছে বামেরা। 


মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বামেরা। তবে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন ছেড়ে দেয় তারা। রাতে আবার কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, তারাও পাঁচটি আসন ছেড়ে দিচ্ছে। আরামবাগ, বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ডহারবার, তমলুক ও আসানসোল ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। এদিন আবার বামেরা ২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল। কিন্তু জোটের পথ খোলা রাখতে বিবৃতিতে বার্তা দেওয়া হল, বামেদের জেতা দুটি আসনে প্রার্থী প্রত্যাহার করলে পুনর্বিবেচনা করবে বামেরা।      



বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু থেকেই চলছে দড়ি টানাটানি। প্রথমে সিপিএমের গতবারের জেতা দুটি আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনটি দাবি করে প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু নিজেদের জেতা আসন ছাড়তে নারাজ ছিল আলিমুদ্দিন। প্রদেশ নেতাদের বক্তব্য ছিল, রায়গঞ্জে সিপিএমের সংগঠন আর আস্ত নেই। কিন্তু কংগ্রেসের আপত্তি উড়িয়ে ওই দুটি কেন্দ্রে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে সিপিএম। .



এরপর দুপক্ষের সন্ধি করতে আসরে নামতে হয় সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীকে। কিন্তু ফের জট তৈরি হয় বসিরহাট ও পুরুলিয়া আসন দুটি নিয়ে। ওই দুটি আসন নিয়ে জেদ ধরে থাকে ফ্রন্ট শরিকরা। এরপর ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আর তাতেই গোঁসা হয় সোমেন মিত্র, দীপা দাশমুন্সিদের। হাইকম্যান্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কংগ্রেসকে অপমানিত করে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে সিপিএম। সীতারাম-রাহুলের ফোনালাপের পরেও ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় হাইকম্যান্ড। তার মধ্যে রয়েছে সিপিএমের গতবারের জেতা দুটি আসনও। তখনই জোট সম্ভাবনায় জল ঢেলে যায়। 


আরও পড়ুন- হাজতে নীরব, জামিনের আবেদন খারিজ ব্রিটেনের আদালতে