নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদ্যাসাগর কলেজে পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। প্রশ্ন তুললেন, নির্বাচনের আগে সভা-মিছিল করতে ৪৮ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হয়। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে মিছিলের কথা ঘোষণা করলেন?         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির সদর দফতরে রাহুল সিনহা দাবি করেন, অভিষেক মিশ্র ও তাঁর স্ত্রী স্বর্ণালি ঘটনাস্থলে ছিলেন। কলেজে তাঁরা কী করছিলেন? ইউনিয়ন রুমে তালা ছিল। কীভাবে ভাঙল মূর্তি? গোটাটাই তৃণমূলের পূর্বপরিকল্পিত ছক। ২০১৩ অভিষেক মিশ্র ও তাঁর দুই সহযোগীর হেনস্থার শিকার হয়ে এক তরুণী আত্মহত্যা করেন বলেও অভিযোগ করেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী। 



রাহুল সিনহা বলেন,''৪৮ ঘণ্টা আগে মিছিলের অনুমতি নেওয়ার রীতি। অথচ কাল মমতা ঘোষণা করলেন, আগামিকাল মিছিল করবেন উনি। মুখ বাঁচাতে বললেন, আগে থেকে ঠিক করেছিলাম। এখন অনলাইনে অনুমতি নিতে হয়। চ্যালেঞ্জ করছি, দেখান সেই অনুমতিপত্র। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি, অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া দরকার''। 


বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিজেপি কর্মীরা ভাঙতে পারেন না বলেও দাবি করেছেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়,''সংস্কৃতির পুরোধার মূর্তির অবমাননার কথা কল্পনা করতে পারেন না বিজেপির কোনও কর্মীই। আমরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করি। সব কর্মীর মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির বোধ রয়েছে''।


বিদ্যাসাগর কলেজে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে সকালেই দিল্লিকে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, গেট বন্ধ ছিল। আমরা বাইরে ছিলাম। ভিতরে গিয়ে কারা ভেঙেছে? টিএমসির লোকেরাই তো ভিতর থেকে কেরোসিন বোম, ইট ছুড়ছি। সহানুভূতি কুড়োনোর জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন- ছবিতে: অমিত শাহের রোড শোয়ে কলকাতার রাজপথে প্রথমবার গেরুয়ার দাপট