নিজস্ব প্রতিবেদন: দশ বছর আগের বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। তার পাল্টা কমিশনকে চিঠি দিয়ে অজয় নায়েকের অপসারণের দাবি জানাল তৃণমূল। কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল লিখেছে, দশ বছর আগে বিহারের সঙ্গে বাংলাকে তুলনা করে মন্তব্য করেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। তাঁর মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে আপত্তিকর।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিঠিতে তৃণমূলের দাবি, দ্বিতীয় দফায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তার দুদিন পর পর্যবেক্ষকের এমন প্রতিক্রিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে কাম্য নয়। এটা অনভিপ্রেত ও আপত্তিকর। দুটি জেলায় মাত্র একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এমন মন্তব্য করে বসলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। ৯২ শতাংশ ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিহারের প্রসঙ্গ তুলেছেন। 



অজয় নায়েকের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয় বলে মনে করে তৃণমূল। চিঠিতে তারা লিখেছে, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন ভোটদানের পথে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বসদের কথায় কাজ করেছেন। তাঁর পক্ষে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করাটা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছেন। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন নায়েক। সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে তাঁকে অবিলম্বে সরানো হোক।     


 এদিন অজয় নায়ক বলেছেন, ,'' ১০ বছর আগে বিহারের যে পরিস্থিতি দেখেছিলাম, সেটাই এখন পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে। সে কারণেই এত কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। এত আধা সেনা মোতায়েন করে ভোটগ্রহণ অভিপ্রেত নয়''।
                  
তৃতীয় দফায় ৯০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় দফার ভোটের আগে মালদহের পুলিস সুপারকে সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মালদহের নতুন পুলিস সুপার হয়েছেন অজয় প্রসাদ।


আরও পড়ুন- নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নপত্রে পর্ন তারকা সানি লিওনি ও মিয়া খলিফা!