কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে কলম ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ দফার ভোটের আগে 'লজ্জিত' শীর্ষত কবিতা লিখলেন।


ছবি থেকে কবিতা- সংস্কৃতির অঙ্গনে স্বছন্দ গতিবিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকে কখনও নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন, কখনও আবার কবি। বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে মমতার কলম। বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়েও লিখে ফেললেন আস্ত একটা কবিতা।   



লজ্জিত


ভাঙতে শিখেছ
গড়তে শেখনি
ভাঙাই তোমাদের কাজ
ভাঙতে গেলে থামতে হবে
ছিঃ ছিঃ নেইকো লাজ
হাত-পা ভাঙলে জোড়া লাগে
হৃদয় ভাঙলে জোড়ে না
মায়ের জীবন শেষ হলেও
মা কখনো হারায় না। 
ঐতিহ্য নিয়ে খেলছো খেলা
বাংলাকে নিয়ে খেলো না, 
সংস্কৃতির জাগরণ বাংলার মুক্তি
এত অবজ্ঞা কর না। 
তোমাদের আছে অর্থের জোর
আর আমাদের প্রাণ-ভরা শ্রদ্ধা
বিদ্যার সাগর, আমি লজ্জিত
ক্ষমা চাওয়ার নেই স্পর্ধা!!! 



গত ১৪ মে অমিত শাহের রোড ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলেজস্ট্রিট ও বিধানসরণী। বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এরপর বিদ্যাসাগর কলেজে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কলেজ ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আগুন জ্বালানো হয়েছে। টুকরো টুকরো তুলে যেখানে মূর্তি ছিল সেখানে রেখে এসেছি''। 


মূর্তি ভাঙার পর শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেন, বিজেপি মূর্তি ভাঙেনি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় মিছিল করেন মমতা। এর মধ্যে আবার বিদ্যাসাগরের পঞ্চরত্ন মূর্তি গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। তার পাল্টা আবার ৫০ ফুটের বিদ্যাসাগর গড়ার আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, মোদীর দাক্ষিণ্য চাই না তাঁর। সপ্তম দফার ভোটের আগে মূর্তি ভাঙা নিয়ে বাঙালি আবেগে শান দিতে চাইছে তৃণমূল, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 


রও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ৫ বছর পর গালভরা প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে 'নীরব' মোদী