নিজস্ব প্রতিবেদন : সুনসান মেডিকেলে লাফিয়ে বাড়ছে ফিভার ক্লিনিকের ভিড়। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত লম্বা লাইন। ছবিটা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। ঠিক মাসখানেক আগেও যে হাসপাতাল চত্বর সুনসান ছিল, প্রায় খাঁ খাঁ করত। এখন সেখানেই ক্রমশ ভিড় বাড়ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা চিকিৎসার জন্য ফিভার ক্লিনিকের সামনে নমুনা পরীক্ষা করতে এবং চিকিৎসককে দেখাতে লম্বা লাইন। দিন পনেরো আগেও এই ভিড় দেখা যেত না। আর মাসখানেক আগে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ঢুকলে মনে হত কোনও অচেনা জায়গা যেন! মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই করোনা আক্রান্তদের ভর্তি এবং চিকিৎসার কাজ শুরু হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কলকাতা মেডিকেলই রাজ্যের প্রথম কোনও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যা করোনা হাসপাতাল হিসেবে অর্থাৎ কোভিড হাসপাতাল হিসেবে সরকারি খাতায় চিহ্নিত হয়। 


আর ওই ঘোষণার পরই ধাপে ধাপে গোটা হাসপাতাল ফাঁকা করে দেওয়া হয়। অন্যান্য সমস্ত রোগী দেখা, ভর্তি, অপারেশন, আউটডোর সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি অথবা করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ রোগীদের ভর্তি ও তাঁদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এই হাসপাতাল। সেসময় শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, ১০২ অ্যাম্বুলেন্স এবং ভর্তি হওয়া রোগীর পরিবারের দু'একজনের দেখা মিলত। 


কিন্তু জুলাই মাসের এই ২০ তারিখের পর চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন সুপার স্পেশালিটি ব্লকের নীচে ফিভার ক্লিনিকে থিক থিক করছে ভিড়। কারোর জ্বর, করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কারোর আবার বাড়ির কেউ ভর্তি হয়েছেন। তাঁরাও লাইনে দাঁড়িয়েছেন পরীক্ষা করানোর জন্য। সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিড় এখন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, "মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন। পরিষেবা পাচ্ছেন। সে কারণেই মানুষের আস্থা বাড়ছে। ভিড় বাড়ছে।" অন্য আরেক আধিকারিক বলেন, "যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, তাই মানুষের ভিড়ও বাড়ছে।"


আরও পড়ুন, হাসপাতালের মেঝেয় 'গড়াগড়ি খাচ্ছে' একাধিক বহুমূল্য ভেন্টিলেটর মেশিন, বিতর্কে কলকাতা মেডিকেল