হাসপাতালের মেঝেয় 'গড়াগড়ি খাচ্ছে' একাধিক বহুমূল্য ভেন্টিলেটর মেশিন, বিতর্কে কলকাতা মেডিকেল

ভেন্টিলেটরগুলি দ্রুত বসিয়ে ফেলতে পারলে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভব হত। এমনটাই মনে করছেন চিকিত্সক, কর্মীদের একটা বড় অংশ। 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jul 22, 2020, 08:32 PM IST
হাসপাতালের মেঝেয় 'গড়াগড়ি খাচ্ছে' একাধিক বহুমূল্য ভেন্টিলেটর মেশিন, বিতর্কে কলকাতা মেডিকেল
ফাইল ফোটো

তন্ময় প্রামাণিক : মুমূর্ষ করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে আরও ভেন্টিলেশন সাপোর্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেইজন্য ১৫টি ভেন্টিলেটরও আনা হয়েছিল। কিন্তু তা বসানো দূরে থাকুক, বরং সপ্তাহখানেকের উপর হয়ে গেল সেগুলি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের গ্রাউন্ড ফ্লোরে। এরফলে ফের একবার বিতর্কে জড়াল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সকলেই চাইছেন দ্রুত ভেন্টিলেটরগুলি লাগানো হোক। প্রাণ বাচুঁক মানুষের।

যা রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আরও ভেন্টিলেটর প্রয়োজন। সেইমতো অর্ডার দেওয়া হয়। অর্ডার দেওয়ার পর তা দ্রুত চলে আসে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু অভিযোগ, প্রাণ বাঁচানোর জন্য আনা সেই ১৫টি ভেন্টিলেটার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে।

ভেন্টিলেটরগুলি দ্রুত বসিয়ে ফেলতে পারলে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভব হত। এমনটাই মনে করছেন চিকিত্সক, কর্মীদের একটা বড় অংশ। অর্ডার দিয়ে দ্রুত নিয়ে চলে আসার পরেও ভেন্টিলেটরগুলি কেন না বসিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে? কেন তা দ্রুত বসানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, "ভেন্টিলেটরগুলি বসানো হবে। কিন্তু সেগুলি বসানোর জন্য দু-একটি বিশেষ ধরনের পাইপের অংশ দরকার। সেগুলি যাঁরা তৈরি করেন ও সরবরাহ করেন, লকডাউন এবং কনটেইনমেন্ট জোনের কারণে তাঁরা পাঠাতে পারছেন না। সেজন্যই ওই ভেন্টিলেটর মেশিনগুলি বসাতে দেরি হচ্ছে।"

প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের লাইফ সাপোর্ট দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওই ভেন্টিলেটর মেশিনগুলি কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং স্বাস্থ্য ভবন। দ্রুত তা মেডিকেল কলেজে চলেও আসে। তবে মেশিন এসে পৌঁছালেও শেষমেশ তা আর ইনস্টল করা যায়নি কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও। এপ্রসঙ্গে কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "তাড়াতাড়ি বসানো হবে। আমরা সবরকম চেষ্টাই করছি।"

আরও পড়ুন, ৩ দিনে আক্রান্ত ১৪২ জন! গোটা রাজ্য়ে রেকর্ড, উদ্বেগ বাড়াল NRS-এর সংক্রমণ

.