নিজস্ব প্রতিবেদন : বাগুইআটিতে মদের আসরে যুবককে বহুতল থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সামনে এল ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তানিয়ার সঙ্গে ত্রিকোণ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল প্রশান্ত রায় ও দেবাশিষ রায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তানিয়া-ই অর্জুনপুরের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে প্রশান্ত রায় ও দেবাশিস রায়কে ডাকে। সেখানে প্রশান্তকে আকণ্ঠ মদ্যপান করানো হয়। এরপর ওই মদের আসরেই ত্রিকোণ প্রেমকে ঘিরে বচসা বাধে তিনজনের মধ্যে। বচসা চলাকালীনই ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় মত্ত প্রশান্তকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে তানিয়ার সঙ্গে পরিচয় প্রশান্তর। সেই পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তানিয়া ও প্রশান্ত। কিন্ত পরে হায়দরাবাদে বিয়ে হয়ে যায় তানিয়ার। বছরখানেক সংসার করার পর এক বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তানিয়ার। এরপরই সোশ্যাল সাইটে ফের প্রশান্তের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয় তানিয়ার।


পুলিস সূত্রে খবর, কয়েকমাস আগে কলকাতায় ফিরে আসে তানিয়া। কলকাতায় ফেরার পর দেবাশিস রায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তানিয়া। আর এই নিয়েই অশান্তি, বিবাদের সূত্রপাত। দেবাশিসের সঙ্গে তানিয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না প্রশান্ত। সম্প্রতি, তানিয়াকে নিয়ে দেবাশিসের সঙ্গে ব্যাপক গন্ডগোল হয় প্রশান্তের। এর পাশাপাশি, তানিয়াও বিবাহিত প্রশান্তের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিল। কিন্তু নাছোড়বান্দা ছিল প্রশান্ত। এরপরই প্রশান্তকে অর্জুনপুরের ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠায় তানিয়া।


আরও পড়ুন, গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, যুবতীকে 'ধর্ষণ' করে খুনের অভিযোগ ইংরেজবাজারে


সেই মদের আসরেই তিন বন্ধুর মধ্যে ঝামেলা বাধে। বচসা চলাকালীনই দেবাশিস রায় ধাক্কা মারে প্রশান্ত রায়কে। ধাক্কার চোটে ছাদ থেকে নীচে পড়ে যাযন প্রশান্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রশান্তকে বহুতলের নীচ থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্তের স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার রাতে অভিযুক্ত দেবাশিস রায় ও তানিয়া মণ্ডলকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিস।