ওয়েব ডেস্ক: কোথায় সেই মেজাজ। কোথায় সেই হাঁকডাক। জেল থেকে বেরোলেন একেবারে অন্য মদন। আগের থেকে অনেক সাবধানী। পাছে কেউ প্রভাবশালী বলে। তাই নিজেকে বন্দি করলেন হোটেলের ঘরে। দূরে সরালেন অনুগামীদের। মেজাজেই তিনি রাজা। গোটা বাংলা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে এমন ভাবেই চিনত এতদিন। কিন্তু শনিবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে যিনি বের হলেন তিনি পুরো অন্য মানুষ। আদালতে বারবার বাধা হয়েছে তার প্রভাবশালী ইমেজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত অক্টোবরে আলিপুর কোর্ট জামিন দিলেও, তা বাতিল হয়ে যায় হাইকোর্টে। মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েও সে যাত্রায় প্রভাবশালী তকমা ঘোচেনি। জেলেই ফিরতে হয়েছে মদন মিত্রকে। এর পর ছেড়েছেন একাধিক কমিটির প্রধানের পদ। তাতেও ইমেজ বদল হয়নি। ফেব্রুয়ারিতেও মদন মিত্রর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে বদল হয়েছে পরিস্থিতি, এখন আর তিনি মন্ত্রী-বিধায়ক নন। আইনজীবীদের পরামর্শ, একটু যদি সমঝে চলেন তাহলে তিনিও কমন ম্যান হতে পারবেন। আর এই কমন ম্যান হওয়াটাই জেল ফেরত মদন মিত্রর প্রধান টার্গেট।


আইনি বিভ্রাটে কালীঘাট থানা এলাকার বাড়িতে ফেরা হচ্ছে না। থাকতে হবে ভবানীপুর থানা এলাকায়। পাছে কেউ প্রভাবশালী বলে, তাই আইনি প্রক্রিয়া মিটে গেলেও রাতে জেলে থেকেছেন মদন। শনিবার সকালে, মুক্তির পর সোজা চলে গেছেন হোটেলে। সঙ্গে তখন শুধু দুই ছেলে আর আইনজীবীরা।


ভবানীপুরে কারোর বাড়িতে থাকলে সিবিআই বলতেই পারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছেন মদন। বলা হতে পারে, প্রভাবশালী বলেই যে কোনও এলাকায় থাকার যায়গা পাচ্ছেন তিনি। তাই সে পথে হাঁটেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। অনুগামীদেরও কাছে আসতে দিচ্ছেন না। নিষেধ করছেন উত্সব, উচ্ছাসে মাততে।


ভিক্টোরিয়া ইন্টারন্যাশাল হোটেলের ৫০২ নম্বর ঘরই এখন মদন মিত্রর জগত।  সঙ্গে শুধু একান্ত আপন পরিজনেরা। অনুগামীরা সেখানে এক্কেবারে নো এন্ট্রি। জামিনের আর্জিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, হাইকোর্টে আর্জি খারিজ হলে, রোজভ্যালি সংক্রান্ত মামলাতেও মদন মিত্রকে যুক্ত করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাই আর রিস্ক নিচ্ছে না মদন। আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন নিজের ভাবমূর্তিটা বদলে ফেলার।