ওয়েব ডেস্ক : মন্ত্রিত্ব নেই। এবারের নির্বাচনে বিধায়ক পদ গেছে তাঁর। হাতে ছিল সবেধন নীলমণি একটি প্রশাসনিক পদ। এবার তাও গেল। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন জেলবন্দি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র। হালেই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বরানগরের বিধায়ক অরূপ রায়কে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অর্থাত্‍ চেয়ারম্যানের পদ থেকে নামটা কাটা গেছে মদন মিত্রের। কিন্তু কেন? ভোটে হারায়। তা কী করে হয়? ভোটে হারা অনেক নেতাই তো বিভিন্ন হাসপাতালে পদ আলো করে রয়েছেন। তালিকায় প্রথম নামটিই হল প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। দমদম উত্তরে তিনি হেরেছেন। কিন্তু, নয়া নির্দেশিকায় BC রায় শিশু হাসপাতালের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে তাঁকে।


সই তালিকায় রয়েছেন ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে হেরেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে তাঁকে।


বিষ্ণুপুরে হেরেছেন প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিও। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হয়েছে। বিনিময়ে পেয়েছেন বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের একই পদ।


তালিকায় রয়েছেন বালুরঘাটে পরাজিত প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। বালুরঘাট হাসপাতালে স্বপদে বহাল রয়েছেন তিনি।


বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রে হেরেছেন এটিএম আবদুল্লা। তাঁকেও বসিরহাট জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।


উত্তরে কার্শিয়ং-এ হেরেছেন এবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তা ছেত্রী। তবুও, দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির শীর্ষপদে তিনিই।


বাঁকুড়ার পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিনতি মিশ্র। স্বাস্থ্য দফতরে নয়া ফরমানে তিনিই এখন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারপার্সন।