নিজস্ব প্রতিবেদন: খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সতর্ক করার পরেও শোধরালেন না! ভোটের প্রচারে ফের বেলাগাম মদন মিত্র (Madan Mitra)। নোয়াপাড়ায় এক জনসভায় কার্যত হুমকির সুরে বললেন, 'গোলি মারো বললে ভিতরে ঢুকিয়ে দেব। এবার সব রকম মশলা দিয়েই নির্বাচন হবে। বড় খেলা হবে, আর সেই খেলা শুরু হবে ভাটপাড়া থেকে।' নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং-র (Sunil Singh) পাল্টা, 'মশলা-গুলি-বোমা দিয়ে নয়, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোট হবে এবং মানুষই শেষ কথা বলবে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত সপ্তাহে Zee ২৪ ঘণ্টায় 'আপনার রায় WITH অঞ্জন' অনুষ্ঠানে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) সঙ্গে রীতিমতো বাক-বিতণ্ডায় জড়ান মদন মিত্র (Madan Mitra)। বিজেপি সাংসদকে নিশানা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন তিনি। তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। এমনকী, সামাজিক মাধ্যমেও আপত্তি জানান নেট-নাগরিকরাও। পরের দিন দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, দলের বৈঠকে মদনকে সাবধান করে দেন মমতা। স্পষ্ট বার্তা দেন, 'কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করবেন না। রুচি ও শালীনতা রেখে কথা বলুন। বাংলার সংস্কৃতি বজায় রাখুন। মাত্রা ছাড়াবেন না।' সেইসঙ্গে বিরোধীদের সভা বা কর্মসূচিতে বাঁধা না দেওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক মহলে, নেতা-নেত্রীদের বেফাঁস মন্তব্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে জনমানসে, তা অনুধাবন করেই আগেভাগে সতর্ক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তাতে আদৌও কি কোনও লাভ হবে? তৃণমূলনেত্রীর সতর্ক করার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের বেফাঁস মন্তব্য় করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)।


আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুলের 'ঘনিষ্ঠ' আত্মীয়; মতুয়াদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে : Bratya


প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের মুখে দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের সভাতেই কিন্তু প্রথম শোনা যায় 'গোলি মারো'। স্লোগান উঠেছিল, 'বঙ্গাল কা গদ্দারো কো গোলি মারো'। যদিও এই স্লোগান বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পরবর্তীকালে চন্দননগরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রোড-শো-তেও একই স্লোগান ওঠে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারও করে পুলিস।