ওয়েব ডেস্ক : "নাম পাল্টে কেওড়াতলা অ্যাপেলো সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেব? শ্মশান তৈরির থেকে ভালো শাট ডাউন করে দেওয়া।" চিকিত্সায় গাফিলতি ও তার জেরে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ পেয়ে, আজ ঠিক এই ভাষাতেই বেসরকারি হাসপাতালের CEO-কে ফোনে হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। 'মরফিয়া'র মত কড়া ওষুধ দিয়ে 'রোগ সারানোর' দাওয়াইয়ের কথাও বলেন তিনি। নির্দেশ দেন, "এখনই ফেরত দিতে হবে টাকা।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তাদের ডেকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও টাকার অভাবে রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে অ্যপেলোর বিরুদ্ধে। ১৬ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার বালিটিকুড়িতে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ডানকুনির সঞ্জয় রায়। ভর্তি করা হয় বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ এরপরই সাধ্যের সীমা ছাড়াতে থাকে বিল। বিল গিয়ে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ ৪০ হাজারে। তখনই সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা ভাবে পরিবার।


অভিযোগ, বিলের বেশিরভাগ অংশ দেওয়া হলেও বাকি টাকা না মেটানো পর্যন্ত রোগীকে ছাড়তে রাজি হয়নি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত চেক ও ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট জমা রাখলে ছাড়া হয় রোগীকে। কিন্তু ততক্ষণে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে SSKM-এ মৃত্যু হয় সঞ্জয় রায়ের। রোগীর পরিবারের দাবি, রোগীকে আগে নিয়ে এলে বাঁচানো যেত।


সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই SSKM-এ চলে যান মদন মিত্র। SSKM থেকেই ফোনে অ্যাপেলোর CEO-কে ধরেন মদন মিত্র। ফোনে মদনের হুঁশিয়ারির পরই পেশেন্ট পার্টিকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ। যদিও মানবিকতার কারণেই টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত বলে, দাবি অ্যাপোলো কর্তাদের।


আরও পড়ুন, 'চিলড্রেন ব্যাঙ্ক'-এর ২০০০ টাকার নোটের আসল গল্প ফাঁস!