ওয়েব ডেস্ক: মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন মদন মিত্র। পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মদন মিত্র। প্রভাবশালী তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টা। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুমোদনের জন্য পাঠানো হল রাজভবনে। আজও আদালতে প্রভাবশালী তত্ব। প্রভাবশালী তত্বে সওয়াল সিবিআই-এর। তারপরেই কার্যত পদত্যাগ করলেন মদন মিত্র। কার্যত কাগজে কলমে নিজের মক্কেলের ওপর থেকে প্রভাবশালী তকমা মুছে দিতে চাইলেন এসকে কাপূর। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার ওপর এই পদক্ষেপ কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি কতটা প্রভাবশালী? মদন মিত্রের জামিন খারিজ মামলার শুনানি দিনভর ঘুরপাক খেল এই প্রশ্ন ঘিরেই। মদন মিত্রকে প্রভাবশালী প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গেলেন সিবিআই-র বিশেষ আইনজীবী রাঘবচারুলু। প্রভাবশালী তকমা মুছতে পাল্টা সওয়াল করলেন মদনের আইনজীবীও। দিনের শেষে রায় হলনা। ফের শুনানি কাল। কালই সম্ভবত রায় দেবেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকালই জানা যাবে, জেলে নাকি বাইরেই থাকবেন মদন মিত্র।  


রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সারদা মামলায় গ্রেফতারির পর বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে এসএসকেএম-র প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের জামাই আদরে। এহেন,মদন মিত্রের জামিন খারিজে মরিয়া সিবিআই হাতিয়ার করল প্রভাবশালী তকমাকেই।


সওয়াল জবাবের শুরু থেকেই মদন মিত্রের প্রভাবশালী তকমাকেই টার্গেট করেন সিবিআই-র বিশেষ আইনজাবী রাঘবচারুলু। বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চকে তিনি বলেন, 'গ্রেফতারির পর  অনেকেই সাক্ষী দিয়েছেন। গোপন জবানবন্দিতে সামনে আসছে অনেক তথ্যই। তাই মদন মিত্রকে এখন ছাড়লে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।'


গ্রেফতারির পর থেকে বেশিরভাগ সময়টাই মদন মিত্র কাটিয়েছেন এসএসকেএম-এর প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে। সওয়ালে সেই প্রসঙ্গ টেনে রাঘলচারুলু বলেন,'এসএসকেএম-এ বিশেষ সুবিধা পেতেন মদন মিত্র। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে থাকতেন। ওই বিশেষ ঘরে রাষ্ট্রপতি,রাজ্যপাল, প্রধান বিচারপতি, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন। তাই ওই ঘরের নাম প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট।'


সিবিআই যখন মদন মিত্রকে প্রভাবশালী প্রমাণে মরিয়া,তখন তা মুছতে প্রাণপন চেষ্টা করলেন তাঁর আইনজীবী। এসকে কাপুর আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন,'বার বার মদন মিত্রকে মন্ত্রী বলা হচ্ছে কেন? দীর্ঘদিন আগেই তো উনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।'


তিনি আরও বলেন,'রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই মদন মিত্রকে  টার্গেট  করা হচ্ছে।  নিম্ন আদালতে জামিন মঞ্জুরের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও যুক্তি নেই। এসএসকেএম-এ কোনও প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট নেই। আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সিবিআই।'


ঠিক এসময়ই বিচারপতি নিশিথা মাত্রে জানতে চান,'মদন মিত্র কবে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন?'


উত্তরে মদনের আইনজীবী এসকে কাপুর বলেন, ১৫ মাস আগে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন নি। মদনের আইনজীবীর মন্তব্য শুনে অপর বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায় সামান্য হেসে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,'এতেই স্পষ্ট উনি কতটা প্রভাবশালী।' তাপস মুখোপাধ্যায়ের এই কথাতে সহমত প্রকাশ করেন নিশিথা মাত্রে।