নিজস্ব প্রতিবেদন:  টাকার  লোভেই কি  অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা মাকে খুন করেছে মৈত্রেয়? সল্টলেকের বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে ছেলে মৈত্রেয়ের চাপে কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বাড়ির উপরের অংশ বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। দোতলা বিক্রির জন্য ৯০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল মৈত্রেয়। যদিও পরে আরেকজন পার্টির কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিল বলে খবর।  কিন্তু ওই ব্যক্তির বাড়ি পছন্দ না হওয়ায় টাকাও ফেরত চান তিনি। এখনও পর্যন্ত সামান্য টাকা ফেরত দিতে পেরেছে মৈত্রেয়। কিন্তু এত টাকার কিসের জন্য প্রয়োজন? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাননি তদন্তকারিরা।  তবে কি টাকার জন্যই মাকে খুন করেছে মৈত্রেয়? এই প্রশ্ন এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এত টাকা মৈত্রেয়ের কীসের প্রয়োজন ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: সল্টলেকে মায়ের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য, ছেলের ভূমিকা নিয়ে সন্ধিহান পুলিস


প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ি থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার প্রবল কূটগন্ধ বেরোতে থাকে। প্রতিবেশীরা সোমবার সকালে থানায় খবর দেন। এদিন সকালে ২২০ নম্বর বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকলে দেখা যায়, পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছিল তাঁর একমাত্র ছেলে মৈত্রেয়। তাঁর মায়ের মৃত্যু হল কীভাবে, তা ঘিরেই বাড়ছে রহস্য।  মৈত্রেয়ের দাবি, প্রদীপের আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। যদিও তার সত্যতা নিয়ে সন্ধিহান পুলিস।


মৈত্রেয়ের  বাবা গোঁরাচাঁদ ভট্টাচার্য এসএসকেএমের চিকিত্সক ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁরও মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ছেলে ও মা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না মৈত্রেয়। নিজের নানা ছুতোয় তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বাড়ি থেকেও খুব একটা বেরোতেন না তিনি।