সাদা-নীল রং করলেই হয় না,দরকার পরিকাঠামো ও পরিকল্পনা: কৈলাস
মাঝেরহাট সেতু ভাঙার ঘটনায় মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের সরকারের জমানায় মাঝেরহাট সেতুর একাংশ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর খোঁচা, কলকাতাকে লন্ডন বানাতে নীল-সাদা রং করছেন মমতা। কিন্তু ঘটনা হল, একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ছে।
নয়াদিল্লিতে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ''তৃণমূলের আমলে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়। টাকার সঙ্গেই ওদের একমাত্র সম্পর্ক। মেক আপ ও সৌন্দর্যায়ন শহর বাঁচাতে পারে না। সে জন্য দরকার পরিকাঠামো ও পরিকল্পনা। লন্ডন বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলকাতায় নীল-সাদা রং করছেন মমতা, ঘটনা হল, একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ছে''।
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের কথায়, ''মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত ধামাচাপা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য''।
মঙ্গলবার আচমকা ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতুর একাংশ। ঘটনার পরই শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিস। বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় তদন্তের জন্য রাইটসকে দায়িত্ব দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। দায়িত্ব পাওয়ার পরই অকুস্থলে যান রাইটসের প্রতিনিধিরা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর পূর্ব রেলওয়ের কাছে জমা পড়েছে রিপোর্ট।
পাশেই মেট্রোর কাজ চলছে বলে মাঝেরহাট সেতুর ক্ষতি হতে পারে বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনেকেই বলেছিলেন, মেট্রোর ভাইব্রেটরের ফলে সেতুর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা ভাইব্রেটর ব্যবহার করেনি। এদিন রাইটসের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, মেট্রোর কাজের জন্য সেতুর কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। ব্রিজের উপরে ভার নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। অবশ্য পূর্ত দফতরও দায় এড়াতে পারে না। মাস ছয়েক আগে ব্রিজটিকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে দোষ কার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
আরও পড়ুন- ব্রিজ বিপর্যয়কাণ্ডে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এফআইআর পুলিসের