নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সেতুর ধ্বংসাবশেষের একটা ফাটল থেকে বেঁচে আসছিল আর্তনাদ। শোনা যাচ্ছিল, বাঁচার আর্তি। সেই জায়গা থেকেই এদিন উদ্ধার হল একটি মৃতদেহ। এনিয়ে মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধ্বংসাবশেষের তলায় অনেকেই আটকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে সেতুর নীচে অস্থায়ীভাবে থাকছিলেন মেট্রোর নির্মাণশ্রমিকরা। তাঁদের সেখানে থাকতে বারণ করেছিলেন অনেকেই। সেই আশঙ্কাই মিলে গেল। মঙ্গলবার হঠাত্ ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট সেতুর একাংশ। ওই ভাঙা অংশের ফাঁক থেকে ভেসে আসছিল। কিন্তু তা সরাতেই লেগে গেল ২৪ ঘণ্টা। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হল মৃতদেহ। দেহ সনাক্ত করা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রণব দে মেট্রোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। এদিন দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রণববাবুর পরিবার। মঙ্গলবার মারা গিয়েছিলেন বেহালার শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগ। 


এদিন দার্জিলিং সফর কাটছাঁঠ করে কলকাতায় ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধে ৬টায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে মা উড়ালপুল ধরে সোজা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। মাঝেরহাটে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''এখানে মেট্রো রেলের কাজ চলছিল। পাইলিংয়ের কাজ চলার সময়ে মনে হত ভূমিকম্প হচ্ছে। আমরা কলকাতা মেট্রোর কাজ চলার সময়েও এটা দেখেছি। এটা বাস্তব। কোনও দিক ছোট করতে চাই না। কোনও দিককে ছোট করে এক দিনেই মূল জায়গা থেকে সরে আসতে চাই না''। 



মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''সময়ে সময়ে পরিকাঠামো দেখার কাজ করেছি। এই সেতুটি ৫৪ বছরের পুরনো। অনেকক্ষেত্রেই কাগজপত্র থাকে না। কাগজপত্র পেতেই হিমশিম খেতে হয়। বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মেট্রোর কাজ চলছিল। পাইলিংয়ের কাজ চলার সময়ে মনে হত যেন ভূমিকম্প হচ্ছে''।


আরও পড়ুন- মেট্রোর কাজ চলার সময়ে মনে হত যেন ভূমিকম্প হচ্ছে: মাঝেরহাটে গিয়ে বললেন মমতা