নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরই দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়ার মণ্ডল বাড়ির লোকজনদের। আশঙ্কা, অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাঁদের। দুমুঠো অন্নের খোঁজে কলকাতায় কাজে এসেছিলেন স্বামী। সেতু ভাঙার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। কোথায় গেল মানুষটা? ঘুম উড়েছে অনীতা মণ্ডলের। স্বামী গৌতম মণ্ডল ওই সেতুর নিচেই যে থাকতেন!     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উদ্বেগ আর উত্‍কণ্ঠা তেঁতুলিয়ার মণ্ডল বাড়িতে। রংচংহীন বাড়িটার বাড়ির ভিতর থেকে নাগাড়ে বেরিয়ে আসছে কান্নার শব্দ।মানুষটা গেল কোথায়! ভাঙা ব্রিজ খেয়ে ফেলল নাকি তাকে!  ঘুম উড়েছে অনীতাদেবীর। মঙ্গলবার বিকেল থেকে স্বামী গৌতম মণ্ডল যে নিখোঁজ!  মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা গৌতমবাবু তাঁর ছেলেকে নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন রান্নার কাজে। থাকতেন মাঝেরহাট ব্রিজের ঠিক নিচেই। সেতু ভাঙার পর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সবার টিভির পর্দায় চোখ। কতটা এগোলো উদ্ধারকাজ? নতুন কোনও মৃত্যুর খবর এল? ধবংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অনেকেই তো ফিরে আসে। এক্ষেত্রেও কি তেমন কিছু হবে? অলৌকিক কিছু ঘটতেই পারে। এভাবেই নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে গরিব পরিবারটি। 


বুধবার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহ। এনিয়ে মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২। দেহ সনাক্ত করা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রণব দে মেট্রোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। এদিন দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রণববাবুর পরিবার। মঙ্গলবার মারা গিয়েছিলেন বেহালার শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগ।


এদিন বেহালায় মামার বাড়িতে ফেরে সৌমেনের দেহ। দুদিন আগেই ছিল তাঁর জন্মদিন। ২৭ বছরের জলজ্যান্ত ছেলেটা যে এভাবে চলে যাবে বিশ্বাসই হচ্ছে না পরিজনদের। বিচারের আশায় শোকসন্তপ্ত পরিবার। দুর্ঘটনাস্থল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, প্রিয়জনের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হয় না। রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে সৌমেনের পরিবারকে। সেই চেক ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 


প্রশ্ন উঠছে, কার ভুলে এই মৃত্যু মিছিল? দায় কার? মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরও কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? 


আরও পড়ুন- কী কারণে ভাঙল মাঝেরহাট সেতু? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্ত