নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয় কাণ্ডে কাঠগড়ায় পূর্ত দফতর। রাজ্যপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী রেল কর্তারাও আঙুল তুলছেন পূর্ত বিভাগের দিকে। কী করে ছ'মাস আগে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে কৈফিয়ত্ তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন সূত্রের খবর, পোস্তা দুর্ঘটনার পর শহরের সেতু বিপর্যয় রুখতে নিয়মিত সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। সেই তালিকায় ৬ মাস আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় মাঝেরহাট সেতুর। সেতু পরীক্ষা করে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান বহাল তবিয়তে রয়েছে ওই সেতু। সেই সময় পূর্ত দফতরের সচিব ছিলেন ইন্দিবর পাণ্ডে। মুখ্যসচিবকে তাঁর কাছে কৈফিয়ত তলব করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মাঝেরহাট কাণ্ডের তদন্তে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দোষী সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। 


মাঝেরহাট সেতু ভেঙে মৃত বেহালার বাসিন্দা সৌমেন


ওদিকে মাঝেরহাট সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায় অস্বীকার করেছে রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যে সময় এই সেতু তৈরি হয়েছিল তখন রেল লাইনের ওপর সেতু তৈরি হলে ৫০ শতাংশ টাকা দিত রেল। সেই নিয়ম মেনে মাঝেরহাট সেতু তৈরিতেও রেল ৫০ শতাংশ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু সেতু রক্ষণাবেক্ষণের কোনও দায়িত্ব তাদের ছিল না। 


স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ৬ মাস কাটতে না-কাটতে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ওই সময় অন্যান্য যে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রের খবর, ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হতে পারে ওই সেতুগুলির।