নিজস্ব প্রতিবেদন: কী কারণে ভাঙল চল্লিশ বছরের মাঝেরহাট সেতু? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক কারণ। মে মাসে ডাকা হয়েছিল টেন্ডার। কিন্তু প্রশাসনিক রদবদলে তা আর বেশিদূর এগোয়নি।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বয়স বাড়লে নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দরকার। ৪০  বছরের পুরনো সেতুর ক্ষেত্রে কি মানা হয়েছিল এই নিয়ম?  সেতু পুরনো হলেও ভারী গাড়ি চলাচলের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছিল। একদিকে ক্রবর্ধমান গাড়ির চাপ, সঙ্গে পিচের ওপর পিচের প্রলেপ, সেটাই সেতুর ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, সেতু সংস্কারের নামে রাস্তায় তাপ্পি দেওয়ার কাজ চলছিল। ফলে পিচের উপরে পিচ পড়ছিল। এতে সেতুর ভার অনেকটাই বেড়ে যায়।এই প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে যে সব সেতু তৈরি হয়, তাতে পিচের প্রলেপ সর্বোচ্চ ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত থাকতে পারে। মাঝেরহাটের ক্ষেত্রে সেটা ১২ ইঞ্চি। 


কংক্রিটের কাজ রডকে কামড়ে ধরে রাখা। জং ধরলে সেই কংক্রিট থেকেই আলাদা হয়ে যায় রড। দীর্ঘ রোদ-জল বৃষ্টিতে জং ধরা স্বাভাবিক। সেই কারণে নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর সেতু সংস্কারের দরকার পড়ে।      


গত এপ্রিলে মাঝেরহাট সেতু মেরামতির জন্য ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। টেন্ডার ডাকা হয় এপ্রিলেই। মে মাসে জোরকদমে কাজ শুরুর কথা ছিল। প্রশাসনিক রদবদলে থমকে যায় প্রক্রিয়া। মেরামতির অভাবকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। 


এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  ''এখানে মেট্রো রেলের কাজ চলছিল। পাইলিংয়ের কাজ চলার সময়ে মনে হত ভূমিকম্প হচ্ছে।  আমরা কলকাতা মেট্রোর কাজ চলার সময়েও এটা দেখেছি। এটা বাস্তব। কোনও দিক ছোট করতে চাই না। কোনও দিককে ছোট করে এক দিনেই মূল জায়গা থেকে সরে আসতে চাই না''।  


মঙ্গলবার ভাঙা অংশের ফাঁক থেকে ভেসে আসছিল। কিন্তু তা সরাতেই লেগে গেল ২৪ ঘণ্টা। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হল মৃতদেহ। দেহ সনাক্ত করা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রণব দে মেট্রোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। এদিন দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রণববাবুর পরিবার। মঙ্গলবার মারা গিয়েছিলেন বেহালার শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগ। 


আরও পড়ুন- আশ্বাস দিয়েও সহযোগিতা মেলেনি, কেজরিকে তোপ দিব্যার; মুখ্যমন্ত্রীর কাঠগড়ায় কেন্দ্র