নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্বাভাস মতোই বুধবার সকাল সাড়ে নটায় উত্তর ধামড়ায় আছড়ে পড়ল ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলের তলায় রাজ্যের একাধিক এলাকা। মঙ্গলবার রাত থেকেই নবান্নের কন্ট্রোল রুম রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইয়াসের গতিবিধির উপর নজর রাখছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় জলের তোড়ে  গ্রামে জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: YAAS updates : উত্তাল মাতলা, কংক্রীটের বাঁধ ভেঙে বানভাসি কুলতলি


মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। কোস্টাল এড়িয়ায় ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ হতে পারে। লো লাইন এলাকায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। গোসাবার গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। শংকরপুর, তাজপুর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও পড়ুন: Cyclone Yaas: দিঘায় বিরাট জলোচ্ছ্বাস, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ছবি


মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও জানান,পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৩ লক্ষ ৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। নন্দীগ্রামে সোনাচুড়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাফিক সেফটির জন্য কলকাতায় ফ্লাইওভার বন্ধ করা হয়েছে।  তবে পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জন সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, "সবাইকে অনুরোধ করব, একটু কষ্ট করুন।" তিনি আরও জানান, ভরা কোটালের জন্য কিছু কিছু জায়গায় ডুবে গিয়েছে। গোটা বাংলা দুর্যোগের কবলে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসকের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, উনি কোভিড অবস্থাতেও কাজ করছেন।