পরিবহণ মন্ত্রী জেলে। পরিবহণ শ্রমিকরা দফায় দফায় ধর্মঘট ডেকে অচল করছেন শহর। এই টানাপোড়েনের মধ্যে এক ঢিলে ২ পাখি মারলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য হয়ে উঠলেন কল্পতরু। আর স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে তার মাথায় সুব্রত মুখার্জিকে বসিয়ে তৈরি রাখলেন মদন মিত্রের বিকল্প।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নজরে পুরভোট। ট্যাক্সিচালকদের নিয়ে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির আন্দোলনে নীরব দর্শক ছিল রাজ্য সরকার। এবার তাই পরিবহণ মহলে জমি ফিরে পেতে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। দরাজ হাতে ট্যাক্সি-অটো-বাস-ম্যাটাডোর চালকদের জন্য ঘোষণা করলেন বীমা সহ একগুচ্ছ কল্যাণমূলক প্রকল্প। তবে আসল চমক ট্যাক্সি রিফিউজাল আইনের সংশোধন। ৩ হাজার থেকে রিফিউজালের জরিমানা একধাক্কায় নেমে এল ১০০তে। নগরপালের সামনেই পুলিসকে পুলিসমন্ত্রীর নির্দেশ, রিফিউজাল হলেই জরিমানা নয়। রিফিউজ করার যুক্তি শুনতে হবে পুলিসকে। তুলে নেওয়া হবে সব পেটি কেস।


একবার দেখে নেব ট্যাক্সিচালকদের কী কী বাড়তি সুবিধা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী...


১) রিফিউজালের জরিমানা ছিল ৩০০০ টাকা। তা কমে হল সর্বনিম্ন ১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা।
২) রাতে যাত্রী প্রত্যাখানে কার্যত সায় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে চালকের মর্জিই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
৩) ট্যাক্সি চালক তার বিভিন্ন ব্যক্তিগত অসুবিধায় যাত্রী প্রত্যাখ্যান করলে পুলিসকে কেস দিতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
৪) পুলিসের আচরণে আপত্তি থাকলে ট্যাক্সি চালকদের সরাসরি স্টিয়ারিং কমিটিতে অভিযোগ জানানোর অধিকার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শহরের বুকে আরও বেপরোয়া হবেন ট্যাক্সিচালকরা? ঠেকাবে কে? বিতর্কিত প্রশ্ন সযত্নে এড়িয়ে গেল ট্যাক্সি মালিকদের সংগঠন। ট্যাক্সি-অটোর চালকদের সমস্যা মেটানোর জন্য সুব্রত মুখার্জির নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটি গড়লেন মমতা ব্যানার্জি। যেখানে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাসরা।