নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর এই প্রথম তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক বসল। আর সেই বৈঠকে মুকুলের দল ছাড়ার প্রসঙ্গ না তুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, দলের কোনও ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি বিজেপির তৃণমূল ভাঙার  চেষ্টাও সফল হবে না, তাও স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী বলেন,''টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করছে। টুম্পাই কেন ছাড়ল জানি না! মিঠুন কেন ছাড়ল জানি না!''


টুম্পাই অর্থাত্ সৃঞ্জয় বসু তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সারদাকাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন সৃঞ্জয়। সারদাকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর একই পথে হাঁটেন মিঠুন চক্রবর্তী। নির্দিষ্ট সময়ের আগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।


সারদা ও নারদকাণ্ডে নাম জড়ায় মুকুল রায়েরও। সারদাকাণ্ডে সিবিআই জেরার পর থেকেই মুকুলের সঙ্গে দলের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। গত বিধানসভা ভোটের আগে আবার দলে ফেরেন তিনি। মাসখানেক আগে থেকে তৃণমূল-মুকুল সম্পর্ক ফের তলানিতে ঠেকতে শুরু করে। তবে এবার আর জোড়া লাগেনি। পুজোর মুকুল রায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দল ছাড়েন মুকুল। ইস্তফা দেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে ছ'বছরের জন্য সাসপেন্ড করে তৃণমূল। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। তৃণমূল আগেই বলেছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থার হাত থেকে বাঁচার জন্য দলত্যাগ করেছেন মুকুল। এদিন মমতা স্পষ্ট করলেন, এই ফর্মুলা অন্য কারও ক্ষেত্রে খাটবে না।


আরও পড়ুন, 'লাইন কাটে কাটুক, মোবাইলে আধার লিঙ্ক করব না', চ্যালেঞ্জ মমতার