Primary TET: পরীক্ষা দিয়ে প্রাথমিক টেট পাস করেছেন মমতা ব্যানার্জি, অমিত শাহ! সঙ্গে পুষ্পাও
অনুত্তীর্ণ অনেক প্রার্থী যাঁরা ইন্টারভিউ দিতে পারেননি, তাঁদের পাস নম্বরও দেখাচ্ছে এই তালিকায়। আবার অনেক জেনারেল প্রার্থীকে রিজার্ভ ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে! এটা `ম্যানমেড` লিস্ট বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিক টেট দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি! পাসও করেছিলেন। তিনি একা নন। টেট দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারীও! প্রত্যেকেই পাস করেছেন! শুধু তাই নয়। বাংলার টেটে পরীক্ষার্থী হয়ে বসেছিলেন অমিত শাহও! অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, গাঁজাখুরি! একদম-ই না। চক্ষু-কর্নের বিবাদ ভঞ্জন করে জেনে নিন যে, এটাই সত্যি। আর তার প্রমাণ হচ্ছে ২০১৪-র টেট পাস প্রার্থীদের তালিকা!
১১ নভেম্বর ২০১৪-র টেট পাস প্রার্থীদের নাম তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ প্রকাশিত ২০১৪-র টেট পাস প্রার্থীদের তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে যে, নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারীর! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দ্বারা সদ্য প্রকাশিত ২০১৪-র তালিকায় নাম 'তিন বিরোধী নেতার'! অবাক হওয়ার এখানেই শেষ নয়। নাম রয়েছে 'মমতা ব্যানার্জি'রও! এছাড়াও আছে বিখ্যাত চলচ্চিত্র চরিত্র পুষ্পার নাম! কোথাও আবার শুধু Y, কোথাও X! এছাড়াও আছে কয়েক হাজার ঘর, যেখানে কোনও নাম-ই নেই।
শুধু তাই নয়, অনুত্তীর্ণ অনেক প্রার্থী যাঁরা ইন্টারভিউ দিতে পারেননি, তাঁদের পাস নম্বরও দেখাচ্ছে এই তালিকায়। আবার অনেক জেনারেল প্রার্থীকে রিজার্ভ ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে! সবমিলিয়ে এই তালিকা ঘিরে উঠছে অস্বচ্ছতার প্রশ্ন। তালিকার সত্যতা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। উদ্বেগ কমার বদলে, নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ। এটা 'ম্যানমেড' লিস্ট বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানের জায়গায় নতুন সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে যায় ও নিয়োগ ঝুলে থাকে।
আরও পড়ুন, TET: প্রভাব খাটিয়ে নম্বরে বদল, চাকরিপ্রার্থীদের গ্রেফতারির পক্ষে মত বিচারকের!
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন আইনজীবীরা। প্রসঙ্গত, টেটের নম্বর প্রকাশের দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ, ২০১৪ ও ২০১৭-র মধ্যে যে টেটে প্রাপ্ত নম্বর বেশি, সেটাই যাতে তাঁরা এবার নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জমা দিতে পারেন, সেই কারণেই নম্বর প্রকাশের দাবি জানান। আদালতের নির্দেশে পর্ষদ ২০১৭ ও ২০১৪, উভয় টেটের পাস প্রার্থীদের নাম তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু সেখানেও বিভ্রাট! বিপাকে পড়ে এই ঘটনায় বাবার নামের দোহাই দিয়ে সাফাই দিয়েছে পর্ষদ।
অন্যদিকে, আবার পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়ছে আবেদনের সময়সীমা। সময়সীমা বাড়ছে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের জন্য। বাকিদের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রসঙ্গত, আজই আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।