নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, এমনকী সংসদেও যাবেন। ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছিলেন রাজধানীতে গিয়ে দেখা করবেন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে কি লক্ষ্য দিল্লির মসনদ? ২০২৪-কে সামনে রেখে বিরোধীদের মুখ হতে চলেছেন মমতাই! এদিন এ প্রসঙ্গেই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২৪ প্রসঙ্গে রবিবার ইকোপার্কে তিনি বলেন, ''সে তো ২০১৯ সালেও করেছিলেন সবার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, জনসভা করেছিলেন ব্রিগেডে। তাতে  ফল কী হয়েছে। এবারেও বুঝতে পেরেছেন যে বাকি বিরোধীরা সবাই পরিস্কার করেছেন তাদের অবস্থান। ওনার পার্টিতে খুনো খুনি শুরু হয়ছে, ২০২৪ এ ভোট লড়তে পারবেন কি না সন্দেহ আছে।'' 


আরও পড়ুন, কেজিখানেক ওজনের রুপোর মুকুট উপহার পেতেই শুরু গুঞ্জন, বিধায়ক বললেন মন্দিরে দিয়ে দেব


কিছুদিন আগেই দলের কাজের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২১ জুলাই প্রতিবাদ কর্মসূচিও করেন রাজধানীতে। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত শক্তি দিয়ে বাংলা জয়ের পথে নেমেছিল গেরুয়া শিবির। দিল্লি নেতৃত্বও কোনও কসরত রাখেননি। কিন্তু শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাছে পরাজিত হতে হয়। এই প্রশ্নের উত্তরেই দিলীপ বাবু বলেন, ''বিজেপি পরাস্ত হয়নি। বিজেপি  ১০% ছিল পাঁচ বছর আগে, সেটা ৩৮% হয়ছে। আর ৩ থেকে ৭৭ হয়ছে। পরাজিত হয়ছে সিপিএম, কংগ্রেস। শেষ হয়ে গেছে।'' 


তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের পরই দিল্লিতে মোদী বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা? এই মন্তব্যে সহমত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ''মুখ তৈরি করা পশ্চিমবঙ্গের একটা বাতিক, জ্যোতি বাবু কেও মুখ করার চেষ্টা করা হত, উনি চলে গেছেন। সিপিআইএম, সিপিআই এখন শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রমোশন চাইছেন। কিন্তু মানুষ ওনা কে হারিয়ে দিয়েছে এটা ওনার বোঝা উচিত।''


এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। মমতার পরে অভিষেকই তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র মুখ, উত্তরাধিকারী, এমনটাই মত বিজেপি নেতার। এদিন তিনি ঘাসফুলের সাংসদকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গেও তোপ দাগেন।