নিজস্ব প্রতিবেদন: শিল্পসংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। নবান্ন সভাঘরে বণিকসভার বৈঠকে আহ্বান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,''আপনাদের কর্মীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে পারেন। আমরা চাপিয়ে দিচ্ছি না। ভ্যাকসিন কে দেবে, কীভাবে দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন থাকতে পারে। কীভাবে কোম্পানির ক্যাম্পাসে ক্যাম্প করা হবে তা দেখবে স্বাস্থ্য দফতর।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিল্পসংস্থাগুলিকে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন,''কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারেন শিল্পসংস্থাগুলি। আমরা টিকা দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এভাবে নিজেদের কর্মীদের বাঁচাতে পারেন। ১০ দিন ব্যবসা বন্ধ থাকলে লোকসান হয়। একবার টিকাকরণ করে নিলে টাকা বাঁচবে। আর কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হয় আপনাদের। কর্মীদের দিয়ে কাজ করাতে বাধা থাকবে না। ভ্যাকসিনের টাকাটা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। আমরা নেব না। টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে দেব। সরকারের একার পক্ষে সম্পূর্ণ  টিকাকরণ সম্ভব নয়।''


রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন,''আপনারা ইতিমধ্যেই দেখেছেন ভ্যাকসিনের জন্য যত টাকা ছিল, সবটাই খরচ করেছি। এক-একটা ভ্যাকসিন ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগছে। আমরা প্রায় ১.৪৪ কোটি লোককে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দিয়েছি। শিশুদের বাদ দিয়ে সাত-সাড়ে কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। বিশেষ করে সুপার স্প্রেডার যেমন শ্রমিক, হকার, মৎস্য বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, গাড়ির চালকদের প্রতিদিন নিখরচায় টিকা দিচ্ছি।''


শিল্পসংস্থাগুলিকে কীভাবে টিকা সরবরাহ বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারা পাবেন, তা স্থির করার জন্য কমন পুল তৈরির কথা জানান মমতা। টিকা কেনার পর পুল থেকে সুষ্ঠু বণ্টন করা হবে।


আরও পড়ুন- রাজ্যে ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত খুলবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, ছাড় খুচরো দোকানকে, ঘোষণা Mamata-র