নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাটপাড়া থেকে গুড়াপ, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সম্প্রতি গণ্ডগোলে প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। কোথাও আক্রান্ত হচ্ছে পুলিস, কোথাও আবার পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন উর্দিধারীরা। এনিয়েই বৈঠকে পুলিসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার বিধানসভায় পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে রাজ্যের ডিজি ছাড়াও ছিলেন চন্দননগর ও বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনরা। ওই বৈঠকে পুলিসের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


একাধিক ঘটনায় পুলিস কর্মীদের উপরে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, পুলিসকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে। পুলিসের উপরে চড়াও হচ্ছে জনতা। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোলমালের জায়গায় পুলিস কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে হেলমেট। 


গণ্ডগোলের সামলানোর ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিরোধীরা আন্দোলনের নামে আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে পারে। সেজন্য পুলিসকে সতর্কভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। পুলিসের নীচুতলার কর্মীদের একাংশ SOP মেনে এগোচ্ছেন না, কেউ কথা না শুনলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ, নিয়ম মেনে কারও উপরে গুলি চালানো যাবে না। প্রথমে শূন্যে গুলি চালাতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পায়ে গুলি করবেন পুলিস কর্মীরা।       


বাইরে থেকে লোক ঢুকে এরাজ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে বলেও রিপোর্ট গোয়েন্দাদের। সে কারণে পুলিসি নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  


আরও পড়ুন- যাত্রীদের জন্য সুখবর, স্বচ্ছ ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানানসই হচ্ছে কলকাতা মেট্রো