নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক চিকিত্সক ইস্তফা দিচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটও অব্যাহত। কার্যত ভেঙে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য। এমতাবস্থায় চিকিত্সকদের কাছে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালের নিরাপত্তা ও এনআরএসে পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের উপরে হামলাকারীদের কড়া শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিকিত্সকরাও। পড়েছে গণইস্তফাও। শুক্রবার নবান্নে সিনিয়র চিকিতসকদের ডেকে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এরপর চিকিত্সকদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ডাক্তারদের দাবি মেনে সরকারি পদক্ষেপের ফিরিস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, চার দিন আগে এনআরএস হাসপাতালে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি। ক্যানসার, কিডনি সমস্যা, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমনকি শিশুরা চিকিত্সা পাচ্ছে না। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছিলাম কলকাতা পুলিস কমিশনারকে। ৫জন গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের জামিন খারিজ করেছে আদালত। জখম ডাক্তারের চিকিত্সার সমস্ত খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সব ধরনের পদক্ষেপ করেছে সরকার। 



সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দেওয়ায় ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে অতিদ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল করার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। 



আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বেরোবে বলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এদিন জানান চিকিত্সকরা। তাঁদের পরামর্শ মেনে  ডেকে পাঠানো হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের। কিন্তু তাঁরা সরসারি 'না' বলে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এনআরএসে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।  


জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের সামনে না এসে এসএসকেএমে গিয়ে ধমক দিয়েছেন। তাঁদের বহিরাগতও বলেছেন। এজন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছেন, দোষীদের না ধরে তাঁদের কার্যত কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা যাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যপাল বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি আসলে কথা হবে''। 


আরও পড়ুন- দার্জিলিঙের স্থায়ী সমাধান চাই, বাংলা ভেঙে গোর্খাল্যান্ড চাইলেন মুকুল?