নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে সরকার। করোনা মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের মানুষকে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কীভাবে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন, কীভাবে নখ পরিষ্কার রাখবেন, কীভাবে হাত ধোবেন, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তা 'হাতেকলমে' দেখিয়েও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন:


* সরকারের তরফে নির্দেশিকা প্রচার করা হচ্ছে। কলকাতায় আমরা একাধিক জায়গায় স্ক্রিনিং চালাচ্ছি। ১ লাখ ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ করোনাতে আক্রান্ত নন।


* এত প্যানিক করার কোনও কারণ নেই। সবাই যাতে ভালো থাকে, তার জন্যই এই মিটিং।


* রেল ও বন্দর তাদের মত করে ব্যবস্থা করেছে। আমরা আমাদের মতো সব জায়গায় ব্যবস্থা করেছি। জেলাতেও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯টি দেশ থেকে ১৫৪১ জন সফর করেছেন। ৩৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও পজেটিভ রিপোর্ট নেই।


* করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করব। টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২, রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বর ২৩৪১২৬০০-এ ফোন করে সাহায্য পাবে মানুষ।


*ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপডেট দেওয়া হচ্ছে।


* সব জেলা, পঞ্চায়েত, মহকুমা ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। দিল্লির সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক চলছে।


* পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে। ল্যান্ড চেকপোস্ট-এও স্ক্রিনিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সব সংস্থা যাতে একসঙ্গে কাজ করে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


* দেশের মধ্যে যে বিমান চলাচল করে সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।


* চিন থেকে যে ওষুধ কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করা হয়, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেন কোনও পরিকল্পনা করে। এর জন্য আমি নিজে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাব।


* ওষুধের দাম কিংবা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় অনেক সময়। সবাইকে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, ওষুধ ও মাস্ক নিয়ে যেন কোনও কালোবাজারি না হয়।


* 'কী করব আর কী করব না', সরকারের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা দেওয়া হবে। এটা আমরা বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করব।


আরও পড়ুন, করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি করা হল ১ মহিলা সহ ৩ জনকে